টুকরো খবর
চার্জ গঠন সলমনদের বিরুদ্ধে
১৪ বছর আগে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের মামলায় সলমন খান, সইফ আলি খান, তব্বু ও সোনালি বেন্দ্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল জোধপুরের আদালত। রাজস্থানে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ে সলমন কৃষ্ণসার শিকার করেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শিকার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সইফ, তব্বু ও সোনালির বিরুদ্ধে শিকার ও সলমনকে শিকারে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। ২৭ এপ্রিল ফের এই মামলার শুনানি হবে। শারীরিক কারণে আদালতে হাজিরা থেকে রেহাই চেয়েছিলেন সলমন। আদালতে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। সলমনরা যে জিপে শিকার করতে যান বলে অভিযোগ তার চালকই ওই মামলার প্রধান সাক্ষী। কিন্তু সে বহু দিন ধরেই নিখোঁজ। সলমনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাঙ্গামা করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। তা উচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। সলমনের আইনজীবী জানান, এই চার্জ পুনর্বিবেচনার জন্য জোধপুরের আদালতে আর্জি জানাবেন তিনি।অবশ্য জোধপুরের আগেই মুম্বইয়ের আদালতে হাজিরা দিতে হবে সলমনকে। ২০০২ সালে সলমনের গাড়ি চাপা পড়ে মারা যান এক ব্যক্তি। এই মামলায় সলমনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ গ্রহণ করেছে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। তার পর মামলা দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই সোমবার হাজির হতে হবে সলমনকে।

মদ্যপদের মারে নিহত যুবক
দুই মদ্যপ যুবকের মারে এক যুবকের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে শোণিতপুর জেলার বেহালিতে। পুলিশ জানায়, আজ বরাজুলি গ্রামে দিলীপ ভূঁইয়া ও পুলটুং ভূঁইয়া নামে দুই মদ্যপ যুবকের আচরণের প্রতিবাদ করেন জয়ন্ত বরা নামে এক যুবক। ক্ষিপ্ত দিলীপ ও পুলটুং জয়ন্তকে মারতে শুরু করে। তাঁকে বাঁচাতে এসে আরও এক গ্রামবাসী জখম হন। মারের চোটে অচৈতন্য জয়ন্তকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।

ত্রিপুরায় শপথ প্রথম প্রধান বিচারপতির
ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন দীপক গুপ্ত। আজ দুপুরে রাজভবনের দরবার হলে রাজ্যের বিদায়ী রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাতিল এই শপথ বাক্য পাঠ করান। ত্রিপুরা হাইকোর্টের আরও যে তিন বিচারপতি আজ শপথ নিয়েছেন,তাঁরা হলেন শুভাশিস তলাপাত্র, উৎপলেন্দু সাহা ও স্বপন চন্দ্র দাস। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার-সহ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পূর্ব-ভারতে ত্রিপুরা ছাড়াও একই সঙ্গে পৃথক হাইকোর্ট তৈরি হল মণিপুর এবং মেঘালয়েও। ১৯৭২ সালে ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্য হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে নিজস্ব হাইকোর্ট তৈরি করার দাবি জানানো হয়।

কাটজুকে কটাক্ষ
সঞ্জয় দত্তের সাজা মকুবের আবেদন জানানোয় শনিবার প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রধান মার্কণ্ডেয় কাটজুর তীব্র সমালোচনা করলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা মহেশ জেঠমলানী। বৃহস্পতিবার কাটজু মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কে শঙ্করনারায়ণনকে চিঠি দিয়ে সঞ্জয় দত্তকে ক্ষমা করার আবেদন জানিয়েছেন। মহেশের মতে, বিষয়টি ‘ভুল বুঝেই’ এই আবেদন করেছেন কাটজু। তাঁর দাবি, “সঞ্জয় দত্ত অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সংবিধানের ১৬১ ধারায় রাজ্যপালের শাস্তি কমানোর বিশেষ ক্ষমতা থাকলেও অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির সাজা তিনি কমাতে পারেন না।” সঞ্জয়ের বোন প্রিয়া দত্ত জানান, দাদার সাজা মকুবের সব চেষ্টা করা হবে। প্রিয়া বলেন, “আমি ও পরিবারের সকলে সঞ্জয়ের পাশে আছি।”

কাঠগড়ায় দেওরিয়ার পুলিশ
ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে এসে পুলিশের কাছে অপমানিত হয়েছিলেন দেওরিয়ার বাসিন্দা মধ্যবয়সী এক মহিলা। শনিবার সেই পুলিশকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে সি গোস্বামী। ওই পুলিশকর্তা মহিলাকে বলেন, “ওঁর বড় সন্তানের বয়সই ১৪। এত বয়স্ক মহিলাকে কেন কেউ ধর্ষণ করবে?” উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি রাজকুমার বিশ্বকর্মা এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “দু’দিনের মধ্যে জবাবদিহির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহিলার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে মামলাও হয়েছে।”

মহারাষ্ট্র পুলিশের বাঙালি অফিসার আত্মঘাতী
নিজের সার্ভিস রিভলভারেই আত্মঘাতী হলেন বাঙালি পুলিশ অফিসার। মহারাষ্ট্রের ঠানের ঘটনা। পুলিশ জানায়, আত্মঘাতী অফিসারের নাম সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ত্রাস দমন শাখায় (এটিএস) কর্মরত ছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের এই ডেপুটি কমিশনার। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সপরিবার গোয়া পতুর্গিজা রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারতে যান সঞ্জয়।
আত্মঘাতী এটিএস অফিসার সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ছবি: পিটিআই
সেখানেই সার্ভিস রিভলভার থেকে মাথায় গুলি চালান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে অবশ্য এখনও কিছুই জানা যায়নি। সঞ্জয়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ময়না-তদন্তের জন্য সঞ্জয়ের দেহ ঠানের সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জঙ্গিদের ডেরায় হানা আধাসেনার
জঙ্গিদের অস্থায়ী শিবিরে হানা দিল আধা সেনা। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশে।পুলিশ সূত্রে খবর, আজ ভোরে চাংলাং জেলার খারসিং পাংচুং গ্রামে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে আসাম রাইফেল্স সেখানে হানা দেয়। জানা যায়, এনএসসিএন ও আলফার একটি যৌথ শিবির রয়েছে সেখানে। জওয়ানদের দেখেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে থাকে। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পরে জঙ্গিরা পালায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৫৬, বহু নথি, কয়েকটি মোবাইল ফোন ও বিস্ফোরক মিলেছে।

১৪ জওয়ানকে সম্মান
সাহসিকতার জন্য শৌর্য চক্র পদক পেলেন ১৪ জন জওয়ান। সম্মানপ্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন সিআরপিএফ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট নগেন্দ্র সিংহ এবং ভিনোজ পি জোসেফ, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বুড়িশোলের জঙ্গলে মাওবাদী নেতা কিষেণজি হত্যায় বড়সড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। বাকি ১২ জন সেনা এবং বায়ুসেনার জওয়ান। তাঁদের মধ্যে তিন জন মরণোত্তর শৌর্য চক্র পেয়েছেন। শনিবার এই সম্মান দেন রাষ্ট্রপতি।

খালাস মাদক চক্রের পান্ডা
মাদক পাচার চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ রাজাউদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও প্রমাণের অভাবে আদালত খালাস করে দিল। ১১ জানুয়ারি মণিপুর পুলিশের বিশেষ বাহিনী তুলিহাল বিমানবন্দর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার এফেড্রিন জাতীয় ওষুধ আটক করে। গোয়েন্দারা জানান, রাজাউদ্দিন সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে পাচারের জন্য ওষুধগুলি এনেছিল। অন্য দিকে, হাজিরার দিন থাকলেও ২৫ কোটি টাকার এফেড্রিন-সহ ধৃত সেনা-কর্নেল অজয় চৌধুরী ও তাঁর সাত সঙ্গীকে শুক্রবার আদালতে আনল না পুলিশ। নিরাপত্তার খাতিরেই এই অনুপস্থিতি বলে খবর।

টুকতে বাধা, মার খেলেন পরীক্ষক
টোকাটুকিতে বাধা দেওয়ায় মার খেলেন পরীক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতসরের বিজেপি নেতা প্রাণনাথের মেয়ে শুক্রবার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিচ্ছিল। সেখানে প্রাণনাথ ও তাঁর ছেলে দু’জনে মিলে মেয়েকে সাহায্য করতে গেলে তাদের শ্রেণি কক্ষে ঢুকতে বাধা দেন পরীক্ষক পুষ্পেন্দ্রকুমার। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর ছেলে ১৫ জন সশস্ত্র গুন্ডা নিয়ে স্কুলে এসে বেধড়ক মারধর করে ওই পরীক্ষককে। তারা বেশ কিছু উত্তরপত্র ছিড়েও ফেলে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.