দেড়শোরও বেশি লোকজন নিয়ে তৃণমূল-নেতা অধীর মাইতির উপরে এলাকার কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও হামলা চালিয়েছিলেন বলে পুলিশ কমিশনারের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগ জানালেন মাঠপুকুরের বাসিন্দারা। সিপি-র কাছে তাঁদের আরও অভিযোগ, তিন দিন কেটে গেলেও খুনে প্রধান অভিযুক্ত শম্ভুনাথ কাও ও তাঁর সঙ্গীরা এখনও ফেরার। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারছে না বলে কমিশনারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এ দিন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (২) সৌমেন মিত্র এবং কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সংগঠন) শ্রী ত্রিপুরারিকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ধাপা রোডের হাজরাবাগানে যান। |
যে জমিতে বহুতল নির্মাণকে কেন্দ্র করে অধীরবাবু খুন হন, সেটি পরিদর্শন করেন তাঁরা। পরে পুলিশ কমিশনার অধীরবাবুর বাড়িতেও যান। শম্ভুনাথ কাও-সহ অভিযুক্ত আট জনকেই গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। অধীরবাবুর এক জামাই শান্তি বাগ বলেন, “পুলিশ আমাদের পাশে আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনার।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে অধীরবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ফের সেখানে যান পুরমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো অধীরবাবুর পরিবারের দুই সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে বলে পুনরায় আশ্বাস দিয়েছেন পুরমন্ত্রী।
বিতর্কিত ওই জমিতে দাঁড়িয়ে এ দিন ঘটনার দু-তিন জন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলতে চান পুলিশ কমিশনার। প্রগতি ময়দান থানার অতিরিক্ত ওসি দেবাশিস চক্রবর্তী স্থানীয় সমর উপাধ্যায় ও জগদীশ সাহু নামে দুই যুবককে ডেকে আনেন। জগদীশ পরে বলেন, “কমিশনার সবিস্তার ঘটনাটি জানতে চান। বললাম, কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও শ’দেড়েক ছেলেকে নিয়ে ওই জমিতে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকের হাতে ক্রিকেট ব্যাট, উইকেট ছিল। অধীরবাবু পৌঁছতেই শম্ভুনাথের সঙ্গে তাঁর কথাকাটি হয়। শম্ভুনাথ তাঁকে ধাক্কা মারেন। এর পরেই বেশ কয়েক জন ছেলে অধীরবাবুর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে বেধড়ক মারতে থাকে।”
এলাকার লোকজন এ দিন পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ওই জমিতে বহুতল হলে যে বড় গোলমাল হতে পারে, তা প্রগতি ময়দান থানার ওসি-র কাছে লিখিত জানানো হয়েছিল। তবুও অধীর মাইতিকে খুন হতে হল।
|