কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের বেহাল পরিষেবার উন্নতিতে বিমানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
মাত্র দিন দশেক আগে চালু হয়েছে ওই টার্মিনাল। বিমানসংস্থাগুলি একে একে পুরনো টার্মিনাল থেকে নতুন টার্মিনালে তাদের উড়ান সরিয়ে আনছে। ফলে প্রতিদিন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে নয়া টার্মিনালে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিষেবাজনিত একাধিক সমস্যাও। জেরবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে পরিষেবার উন্নতি চেয়ে আজ বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বঞ্চনার রাজনীতি করছে কেন্দ্র। কলকাতার নতুন টার্মিনালটিও এখন ইউপিএ-র সেই নীতির শিকার।
চলতি সপ্তাহে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি আসার জন্য নতুন টার্মিনালটি ব্যবহার করেছিলেন ডেরেক। আজ সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই ওই টার্মিনালে কী কী সমস্যা রয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে বিমানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তিনি। তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, নতুন টার্মিনাল শুরু হওয়ার পর থেকেই শৌচাগারের অবস্থা শোচনীয়। যথেষ্ট সাফাই কর্মী নেই। মেঝেতে জল থইথই করছে। ডাস্টবিন উপচে পড়েছে কাগজে। বড় ডিসপ্লে বোর্ডের অভাবে যাত্রীদের বোর্ডিং গেট খুঁজতেও সমস্যা হচ্ছে। ডেরেকের বক্তব্য, সমস্যা রয়েছে কনভেয়ার বেল্টেও। কোন বিমানের ব্যাগ কোন বেল্টে আসছে, সে বিষয়েও জানতে পারছেন না যাত্রীরা। নতুন টার্মিনালে একাধিক এরোব্রিজ অব্যবহৃত পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন যাত্রীদের বাসে করে বিমানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও আজ অজিতের কাছে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ডেরেকের কথায়, “বর্তমান টার্মিনালে একাধিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে সেটিকে চালু করলেন, তার কোনও যুক্তি নেই মন্ত্রকের কাছে। বিমানমন্ত্রীও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে উনি দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।” |