কোর্টের নির্দেশে মালদহের চাঁচলের ৩টি ইটভাটা বন্ধ করে দিল পুলিশ। আমবাগানের দেড় কিমির মধ্যে ওই ইটভাটাগুলি অবৈধভাবে চলছে বলে জনস্বার্থের মামলার ভিত্তিতে আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছিল বলে প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চাঁচলে ৩টি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।” পুলিশ ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই ৩টি ইটভাটা রয়েছে চাঁচল-২ ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিধি না মেনে ওই ভাটা ৩টি চলছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন স্থানীয় এক আইনজীবী জাহাঙ্গির আলম। বিধি অনুযায়ী, আম বাগানের ১.৬ কিমির মধ্যে ইটভাটা করা যাবে না। এ ছাড়া ৩ একরের বেশি জমি ইটভাটা তৈরির জন্য ব্যবহার না করার পাশাপাশি রাজ্য সড়কের ২৫০ মিটারের মধ্যে ইটভাটা হলে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরের। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের অনুমতিও চাই। প্রতি বছর ভূমিসংস্কার দফতরেরও অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু ওই ইটভাটাগুলির ক্ষেত্রে সেই সব নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা করা হয়। মামলার পরে উচ্চ আদালত জেলা ভূমিসংস্কার দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। এর পরেই ওই ইটভাটা ৩টি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
|
কর্মসংস্থান, নতুন রাস্তা, শিল্পে বিনিয়োগের তথ্যের পর এ বার উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে খরচ নিয়ে সরকারি বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হল। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার প্রশ্নের জবাবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর নিজস্ব ৬৭ কোটি টাকা এবং নাবার্ডের দেওয়া সাড়ে ১৮ কোটি টাকা খরচ করেছে। মন্ত্রীর দেওয়া ওই তথ্যেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে সুখবিলাসবাবুর দাবি। তিনি পরে জানান, ওই অর্থবর্ষে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকা খরচ করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১২-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ রাজ্য সরকার ৩৪ কোটি টাকা খরচ করার নির্দেশিকা দেয়। তার সামান্য কয়েক দিন পরেই ওই অর্থবর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই টাকাও খরচ করা যায়নি। অর্থাৎ এ দিন মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যের সঙ্গে সরকারের আগে দেওয়া তথ্য মিলছে না। আবার বাজেটের তথ্য মন্ত্রীর বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সেই অর্থবর্ষে ১৩১ কোটি টাকা খরচ করেছে! সুখবিলাসবাবুর কথায়, “অর্থ ও উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেই সরকারের আগে দেওয়া তথ্যগুলি জানতাম। অথচ, এ দিন মন্ত্রী অন্য কথা বললেন।”
|
জামায় পানের পিক ফেলে একটি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের এক শিক্ষকের প্রায় ৪১ হাজার টাকার কেপমারির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুর থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চোপড়ার বাসিন্দা তথা দলুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক গোলাম মুস্তাফা বৃহস্পতিবার স্কুলের ৫ জন শিক্ষকের বেতনের টাকা ইসলামপুর শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে তোলেন। দুই দুষ্কৃতী তাঁর জামার পিছনে পানের পিক ফেলে তাঁকে বিষয়টি জানায়। বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে উঠেই মুস্তাফাবাবু দুই পায়ের ফাঁকে টাকার ব্যাগটি রেখে জামা খুলে পরিষ্কার করতে থাকেন। সেই সময় টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, “ছেলে দুটি কীভাবে ব্যাগ নিয়ে গেল টের পেলাম না।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
|
বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল পথচারীর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুর থানার প্রাণসাগর এলাকায় ঘটে। মৃতের নাম সুরজিৎ রায় (২২)। ওই যুবক রাস্তা পার হওয়ার বাইকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাইক চালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। |