আসন সংরক্ষণের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি এবং বর্তমান কর্মাধ্যক্ষদের অনেকেরই এবারে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পঞ্চায়েতের এলাকা পুর্নবিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের তালিকায় দেখা গিয়েছে, অনেককেই এ বার ভোট ময়দান থেকে দূরে থাকতে হবে। জেলা পরিষদে ১৮টি আসনের ৪টি আসন সংরক্ষণের আওতায় পড়েনি। বাকি ১৪ টি আসনের মধ্যে তফসিলি জাতি মহিলাদের জন্য ২ টি, তফসিলি উপজাতি মহিলাদের জন্য ২ টি এবং ৫ টি সাধারণ জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া তফসিলি জাতি সাধারণের জন্য ৪ টি এবং তফসিলি উপজাতি সাধারণের জন্য ১ টি আসন সংরক্ষিত হয়েছে।
তবে সংরক্ষণ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান মানবেশ চৌধুরী। তিনি বলেন, “সমস্যা হবে না। আলোচনা করে প্রার্থী দাঁড় করানো হবে।” তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “ত্রিস্তরেই ৫০ শতাংশ আসন মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। ওই প্রক্রিয়া মেনেই আমরা প্রার্থী দেব। আর জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের বক্তব্য, ‘‘বুথ ভিত্তিক মহিলা সংগঠন তৈরি হয়েছে। আমরা সাধারণ আসনেও মহিলাদের দাঁড় করাব।”
মুখে রাজনৈতিক দলগুলি ৫০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার না করলেও অন্দরে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। যেমন, জেলাপরিষদের বালুরঘাটের ৩টি আসনের মধ্যে একমাত্র ৮ নম্বর আসনটি সাধারণের জন্য রাখা হয়েছে। জেলাপরিষদের সিপিএমের সহকারি সভাধিপতি অমিত সরকারের ১০ নম্বর আসনটি এবারে তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। একমাত্র ৮ নম্বর সাধারণ আসনটি আরএসপির দখলে রয়েছে। এই আসনটি শরিক আরএসপি সিপিএমকে ছাড়বে না বলে ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
হিলি থেকে নির্বাচিত আরএসপিরা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বসাকও এবারেও দাঁড়াতে পারবেন না। হিলি ব্লকের একমাত্র জেলা পরিষদের ওই আসনটি এবারে সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ হয়ে গিয়েছে। তপন থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমানও এবারে নিজের আসনে দাঁড়াতে পারবেন না। তাঁর আসনটি তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। আর সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মুর আসনটিও তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ হওয়ায় তাঁরও ওই আসন থেকে এবারে প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। |