নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
|
নান্টু পালকে অবৈধ ভাবে চেয়ারম্যান করার অভিযোগে এ বার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য কাউন্সিলররা। গত ২০ মার্চ আদালতে ওই মামলা করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ওই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বাম কাউন্সিলরদেরও হাজির হতে বলা হয়েছে। কোরাম না করে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন মেয়র এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের পদে থাকা তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অরিন্দম মিত্রের ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন। ওই সভার উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। অরিন্দমবাবু তাঁরই দলের কাউন্সিলর হওয়ার কারণে মন্ত্রীর নির্দেশেই কোরাম ছাড়া নিয়ম না মেনে ওই কাজ করেছেন বলে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তবলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। কিছু বলতে চাই না।” বস্তুত নান্টু পালকে চেয়ারম্যান করা নিয়ে কংগ্রেস তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছেই। তার মধ্যেও আগামী ২৩ মার্চ বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত থাকবে তৃণমূলের কাউন্সিলররা। দলের অন্যতম কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল জানান, বাজেট পেশের দিন তাঁরা থাকবেন। এ দিন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেছেন, “চেয়ারম্যান পদ ছাড়লে তৃণমূলের মেয়র পারিষদদের পদ ফেরৎ দিয়ে কংগ্রেস আলোচনায় যেতে রাজি।” তাঁর অভিযোগ, জোটের ধর্ম না মেনে আলোচনা ছাড়াই চেয়ারম্যান পদের জন্য তৃমমূল লড়েছে। অথচ জোট করে বোর্ড গঠনের সময় ঠিক হয়েছিল চেয়ারম্যান পদটি কংগ্রেসে। তৃণমূল আলোচনায় বসতে কোনও রকম শর্ত মানতে রাজি নয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ওরা আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি। পুরসভা নিয়ে এ মুহূর্তে বিশেষ কিছু বলার নেই। শনিবার বাজেট পেশ হবে। কাউন্সিলরদের নিয়ে রবিবার বৈঠক। সেখানেই আলোচনা হবে।” |