নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
|
মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্রের পাঠানো চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে আরও খানিকটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দলীয় সূত্রের খবর, জিটিএ চিফ তথা দলের সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের নির্দেশে শনিবার দুপুরের বিমানে কলকাতা গিয়েছেন বিনয় তামাং ও রতন থাপা। সব ঠিক থাকলে আজ, শুক্রবার মহাকরণে পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে জিটিএ প্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে মূলত জিটিএ-এর কিছু সমস্যা ও প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কলকাতা রওনা হওয়ার মুখে বাগডোগরা বিমানবন্দরে জিটিএ-র তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য বিনয় তামাং বলেন, “মহাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথাবার্তা হবে। আলোচনার পরেই বিশদে বলব।”
রাজ্য সরকারের তরফে মোর্চা নেতাদের আলোচনায় বসার আগ্রহকে স্বাগত জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, “আমরা গোড়া থেকেই বলছি, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে। সে দিক থেকে এটা অবশ্যই ভাল ব্যাপার।”
সরকারি সূত্রে খবর, মুখ্য সচিবের তরফে চিঠিটি পাঠানো হয় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। তার প্রায় এক মাস আগে মোর্চার সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত। মোর্চার তরফে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েও নানা চাপের মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে চান না বলে সে সময়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন গুরুঙ্গ। কিন্তু, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক না-থাকলে জিটিএ চালাতে প্রতি পদে সমস্যা হবে বলে মোর্চার নেতাদের একাংশ মত প্রকাশ করেন। এমনকী, কেন্দ্রে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাতেও রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে জিটিএ চালানোর উপরে জোর দেওয়া হয় বলেও মোর্চা নেতাদের একাংশ জানান।
এরই প্রেক্ষিতে জিটিএ দীর্ঘদিন আগে পাঠানো চিঠিটির প্রাপ্তি স্বীকার করে মঙ্গলবার। সে দিনই মোর্চার তরফে রোশন গিরি জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের পাঠানো চিঠিটি তাঁরা খোলা মনেই গ্রহণ করেছেন। তখনই তাঁরা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে বলে ইঙ্গিত দেন। এর পরে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়, আপাতত বিনয়বাবুর নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে মহাকরণে পাঠানো হবে। |