রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং জনজীবনে নিরাপত্তার অভাবকে হাতিয়ার করে সরকারকে আক্রমণ শানাতে তৈরি হচ্ছে বিরোধী শিবির। বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর-সহ নানা আলোচনায় রাজ্য সরকারকে লাগাতার বিঁধেই চলেছে বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট আলোচনার সুযোগ এই প্রথম। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় আজ, শুক্রবারই প্রথম আলোচনা হতে চলেছে মুলতুবি প্রস্তাবের উপরে!
মমতার ২২ মাসের রাজত্বে প্রতি অধিবেশনেই একাধিক বিষয়ে মুলতুবি প্রস্তাব তুলতে চেয়েছে বামেরা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্পিকার প্রস্তাব পাঠ করার অনুমতি দিলেও এখনও পর্যন্ত সে সবের উপরে কোনও আলোচনা ছাড়পত্র পায়নি।
এ বার বাজেট অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত হয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিরোধীদের তরফে একটি মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য সময় ধার্য করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘ইচ্ছা’কে মর্যাদা দিয়েই চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে দু’ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে মুলতুবি প্রস্তাবের জন্য। শাসক ও বিরোধীদের তরফে চার জন করে বক্তা থাকবেন। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে বিতর্কের জবাব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীরও আজ বিধানসভায় থাকার কথা। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যা তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে ওই প্রস্তাবের উপরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বক্তা নন। শাসক দলের তরফে বলার কথা দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং বর্ষীয়ান বিধায়ক পরশ দত্তের। বামেদের তরফে বক্তা হওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, সুভাষ নস্কর ও উদয়ন গুহের। কংগ্রেসের বক্তা মানস ভুঁইয়া। |