রাজ্যে একসঙ্গেই ৪৫টি মহিলা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট |
মহিলাদের উপরে নির্যাতনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাজ্যের ১৫১টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মধ্যে ৪৫টিকে মহিলা ফাস্ট কোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ কথা জানান আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, দেশে একসঙ্গে এত মহিলা ফাস্ট ট্র্যাক আদালত চালু করার উদ্যোগ এই প্রথম। সুখবিলাস বর্মা প্রশ্ন করেন, এত মহিলা আদালতের জন্য বিচারক মিলবে কী ভাবে? চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “প্রচুর বিচারক আছেন। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না। আসল কথাটা হল দৃষ্টিভঙ্গির। না-পাওয়া গেলে পুরুষ বিচারক আনা হবে। মহিলা বিচারক পাওয়া মাত্র তাঁদের সেই পদে বসানো হবে।” মন্ত্রী জানান, রাজ্যে এখন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সংখ্যা ১৫১। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ মার্চের মধ্যে সব অস্থায়ী আদালতকে স্থায়ী করতে হবে। তাই মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টকে স্থায়ী করা হবে। ২৪টি আদালতকে সহকারী জেলা জজ আদালত এবং ২৯টিকে নিয়মিত আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হবে। অসিত মাল প্রশ্ন তোলেন, জেলা আদালগুলিতে বিচারকের বহু পদ শূন্য। মামলার নিষ্পত্তি হতে দেরি হচ্ছে। সরকার কী করছে? মন্ত্রী বলেন, “নিয়োগের দায়িত্ব সরকারের। সেই দায়িত্ব তারা পালন করছে। কিন্তু পোস্টিং হয় হাইকোর্টের মাধ্যমে। তারা ব্যবস্থা করলে তবেই শূন্য পদ পূরণ হবে।”
|
চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিনে বাংলার কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে অরুণাভ গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত একটি তথ্য চিত্রের সিডি উদ্ধোধন করে বিমানবাবু বলেন, “ধান ও পাটের দাম না পেয়ে গত বছর কৃষকরা আত্মহত্যা করেছে। এ বারও কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে না।” তাঁর অভিযোগ, মাঠে বস্তাবস্তা আলু পড়ে আছে। কিন্তু কেনার লোক নেই।
|
রাজ্য বন দফতরের ‘হেড অফ ফরেস্ট’ (হফ) হলেন সীতাংশুবিকাশ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার মহাকরণে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র বন দফতরের শীর্ষ পদের জন্য সীতাংশুবাবুর নাম ঘোষণা করেন। ওই দফতরের তিন প্রধান মুখ্য বনপালও নির্বাচন করা হয়েছে এ দিন। তাঁরা হলেন, এন সি বহুগুনা, উজ্বল ভট্টাচার্য এবং দীপক ঘোষ। শনিবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন। পরের দিন তাঁর সুন্দরবন যাওয়ার কথা।
|
সরকারি সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক ভুক্তভোগীদের বন্ধ হয়ে যাওয়া পেনশন ফের চালু করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে দেখা করলেন নকশাল নেতা সন্তোষ রাণা। তিনি বলেন, “১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ওই দাবি জানিয়েছি। এ বার সূর্যবাবুকে দাবিপত্র দিলাম, যাতে ওঁরা বিষয়টি নিয়ে সরব হন।” |