বারণ করা সত্ত্বেও আবর্জনার স্তূপে তাঁরা আগুন লাগিয়েছেন। এই অভিযোগে মাঠে ময়লা ফেলতে আসা বাঁকুড়া পুরসভার কিছু সাফাইকর্মীকে বেধড়ক পেটালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কেশড়া এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন প্রহৃত কর্মীরা।
বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশড়া গ্রামের ৫০ বিঘার ফাঁকা মাঠে আবর্জনা ফেলে বাঁকুড়া পুরসভা। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে বাঁকুড়া পুরসভার দুটি ট্রা’কে মোট ১১ জন কর্মী ওই মাঠে ময়লা ফেলতে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁদের উপরে চড়াও হন। প্রহৃত কর্মীদের মধ্যে বাঁকুড়ার শিখরিয়াপাড়ার বাসিন্দা লালু দাস, দোলতলার রাজেশ কর্মকাররা বলেন, “আমরা গাড়ি নিয়ে ঢুকতেই প্রায় আড়াইশো গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের উপরে ঝাপিয়ে পড়ে মারধর করে। গাড়িও ভাঙচুর করে।” খবর পেয়ে পুরসভার অন্য কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১ জন সাফাইকর্মীকে উদ্ধার করেন। পুলিশও আসে।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, পুরসভার জমে থাকা আবর্জনা গুলিতে প্রতি বছর আগুন লাগিয়ে দেন ময়লা ফেলতে আসা সাফাইকর্মীরা। যার জেরে ওই মাঠ সংলগ্ন গাছপালাগুলিতে আগুন ধরে যায়। আগুন গ্রামের ভিতরেও ছড়িয়ে পড়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “আমরা অনেক বার ওই সাফাইকর্মীদের আগুন লাগাতে বারণ করেছি। ওঁরা শোনেননি। কিছুদিন আগেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “কোনও কর্মী আবর্জনায় আগুন লাগান না। গ্রামেরই কিছু লোক এই কাজ করে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।” তাঁর দাবি, মাঠটি পুরসভার। অভিযোগ থাকলে পুরসভায় জানানো উচিত ছিল। দুষ্কৃতীদের মতো মারধর, ভাঙচুর করার মতন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বাঁকুড়া পুরসভার শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির সম্পাদক ভাস্কর সিংহ বলেন, “আমাদের কর্মীদের বিনা দোষে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে শহরের সাফাই কাজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য আমরা বন্ধ করে দেব।” |