কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাল বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়।
বুধবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একদল দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অভিযোগ, বাড়িগুলিতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি গুলিও চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বনগাঁ-চাকদহ রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন বাসিন্দারা। উত্তর ২৪ পরগনরা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
যাঁদের বাড়িতে হামলা হয়েছে তাঁদের অন্যতম ভারতী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বুধবার দুপুরে কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার মেয়ে ও জামাই বাড়িতে এসেছিল। দুষ্কৃতীরা জামাইয়ের ভাতের থালা উল্টে দেয়। আমার ও মেয়ের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। আমার ভাইপোকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।” |
শুধু ভারতীদেবীর বাড়িতেই নয়, দুষ্কৃতীরা স্থানীয় চাঁপাবেড়িয়া ও ঠাকুরপল্লির কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ দিন সন্ধ্যাতেও চাঁপাবেড়িয়া বাজারে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে বন্ধ ছিল বাজার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়ায় দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই দীর্ঘদিনের। বেশ কয়েক মাস একটি গোষ্ঠী এলাকাছাড়া। সম্প্রতি তারা ফের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। তারই পরিণতিতে বুধবার রাতে কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় অন্য গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা। যাঁদের বাড়িতে হামলা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে এলাকাছাড়া দুষ্কৃতীদের সর্ম্পক রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের দু’টি গোষ্ঠীর সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের যোগ রয়েছে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে থানায় স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয়। একই অভিযোগ বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্যেরও। তিনি বলেন, “দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। ওই এলাকায় অশান্তি বন্ধ করতে না পারার দায় পুলিশের।” বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বুধবারের ঘটনা দু’দল দুষ্কৃতীর নিজেদের মধ্যে বিরোধের ফল। পুলিশকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলেছি।” |