‘সিভিক পুলিশ’ নিয়োগ নিয়ে ফের উত্তেজনা বসিরহাটে। মাথা ফাটে বসিরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার (বিএসএফ) সম্পাদকের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বসিরহাটের এসডিপিও বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করলে ফের চালু হয় পরীক্ষা।
কয়েক দিন আগেই বসিরহাট হাসপাতালে একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল
|
জখম ক্রীড়া
সংস্থার সম্পাদক। |
বসিরহাট স্টেডিয়াম। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের খেলাধূলার শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছিল। যা বেআইনি। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নিমাই হালদার বলেন, “কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কয়েক জন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে গণ্ডগোল বাধিয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো বসিরহাট মহকুমার ন’টি থানা এলাকা থেকে প্রায় ৩৫০০ ছেলেকে সিভিক পুলিশে নিয়োগ করা হবে। এ জন্য ফর্ম জমা পড়েছে ১৫ হাজার। বসিরহাট থানা এলাকাতে জমা পড়া আড়াই হাজার ফর্মের মধ্যে নিয়োগ করা হবে ৭০০ জনকে। এ দিন ছিল নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের উচ্চতা ও শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকলে শুরু হয় বচসা, ধাক্কাধাক্কি। ওই সময়ে টাকার বিনিময়ে খেলাধূলার শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে, এই খবর ছড়ালে শুরু হয় উত্তেজনা। |
ঘটনাস্থলে আসেন বসিরহাট কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা শমীক রায় অধিকারী দলের নেতারা।
শমীকবাবু বলেন, “সরকারি নির্দেশ অমান্য করে উচ্চতার মান বেশি রাখায় অনেক ছেলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্য দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রেই একশো-দুশো টাকার বিনিময়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে খেলাধূলার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে প্রার্থীরা প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘে র ঢোকার চেষ্টা করলে গ্রিলের দরজা লেগে মাথা ফাটে সম্পাদকের।” কিছুক্ষণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এসডিপিও অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। তবে বুঝিয়ে বলার পরে সকলে শান্ত হয়।” |