দোলের প্রস্তুতিতে শশব্যস্ত মায়াপুর-নবদ্বীপ। লক্ষাধিক দেশী ও বিদেশী ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন মঠগুলিতে। বিভিন্ন মঠের তরফে ৭২ কিলোমিটার নবদ্বীপ মহামণ্ডল বা গৌরমণ্ডল পরিক্রমা চালু হয়েছে। আর এই সংকীর্তন শোভাযাত্রার পরিক্রমার পথে একাধিক বার পার হতে হয় নবদ্বীপ-মায়াপুরের মধ্যবর্তী গঙ্গা। এই সময়ে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় খেয়া পারাপার। বছর অন্য সময় গোটা চারেক নৌকায় লোক পারাপার করেন। কিন্তু দোলের সময় মানুষের চাপ সামাল দিতে নাভিশ্বাস ওঠে কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন সব পক্ষই। পর্যাপ্ত নৌকা, আলো, মাইক প্রভৃতির ব্যবস্থা করেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না নবদ্বীপ জলপথ পরিবহন সমিতির কর্তারা। খেয়া পরিষেবা প্রসঙ্গে নবদ্বীপ নাগরিক কমিটির সম্পাদক দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দোলের সময় লক্ষাধিক লোক গঙ্গা পারাপার করেন। সেই তুলনায় নৌকার সংখ্যা অপ্রতুল। বার বার লঞ্চ চালানোর দাবি জানানো সত্ত্বেও তা মানা হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই ১০-১২টা মান্ধাতার আমলের নৌকাই ভরসা। বাঁশের মাচা পেরিয়ে নৌকায় ওঠা বা নদীর পাড়ের গড়ান পথে ওঠানামা করতে বিদেশী পর্যটকেরা সমস্যায় পড়েন। কিছু দিন আগে এক চীনা পর্যটক জলে তলিয়েও যান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।” অন্য দিকে নবদ্বীপ জলপথ পরিবহন সমিতির সম্পাদক অলোক মণ্ডল বলেন, ‘‘দোল উপলক্ষ্যে ৪টির পরিবর্তে ১১টি নৌকা চালানো হবে। পর্যাপ্ত আলো, মাইকে ঘোষনা সবেরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” সমিতির সভাপতি গোপাল দাস বলেন, “আমাদের ১৬০ জন কর্মী তিন পর্বে পালা করে কাজ করবেন। সঙ্গে প্রশাসন তো রয়েইছে।” নবদ্বীপ পুরসভার পুর প্রধান বিমান কৃষ্ণ সাহা বলেন, “দোলের সময় খেয়াঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী নৌকা ও স্পিডবোডর্।” নদিয়ার সদর মহকুমা শাসক সব্যসাচী সরকার বলেন, “ইতিমধ্যে খেয়া পারাপারের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছি। উত্সবের দিনগুলিতে স্পিডবোর্ড, ডুবুরি ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সবই পর্যাপ্ত পরিমানে থাকবে।” |