|
|
|
|
তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের সামসাবাদ এলাকা। বুধবার রাতে সামসাবাদ পঞ্চায়েতের ধান্যখোলা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। আহত হন বেশ কয়েকজন। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাতেই নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ জানায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।
নন্দীগ্রামে আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে দীর্ঘ দিন। এ দিনের ঘটনার পর তাহের অনুগামী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য পীযুষ ভূঁইয়া সরাসরি সুফিয়ান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য শেখ সুফিয়ান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এটা গ্রামীণ বিষয়। দলের লোকজন জড়িত থাকলেও রাজনৈতিক কারণে নয়। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনও ওই ঝামেলা অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে প্রায় বিরোধীহীন নন্দীগ্রামে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ লড়াই এখন তুঙ্গে। প্রার্থী নির্বাচন করতে ব্লক স্তরে যে কমিটি গড়া হয়েছে তাতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল ছাড়াও দুই যুযুধান নেতা শেখ সুফিয়ান ও আবু তাহের-সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন রয়েছেন। কিন্তু আসন বণ্টন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো যাচ্ছে না কিছুতেই।
এ দিকে, তৃণমূল পরিচালিত সামসাবাদ পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে শেখ সুফিয়ান ও আবু তাহেরের গোষ্ঠীর কোন্দল চলছে অনেক দিন। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ ধান্যখোলা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা দলের অঞ্চল সভাপতি শেখ শাহ আলমের বাড়ির কাছে সুফিয়ানের অনুগামী অতনু জানা, আমিরুল খান, হাসান খানের নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী হামলা চালান বলে অভিযোগ। শাহ আলমকে ধাক্কাধাক্কি করা ছাড়াও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ মালেক-সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদ সদস্য পীযুষ ভূঁইয়া-সহ তাহের অনুগামী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পীযুষবাবু আহত শেখ মালেককে নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। রাতে সেখানে পুলিশ যায়। পীযুষবাবুর অভিযোগ, ‘‘সুফিয়ানের ঘনিষ্ঠ দলেরই কিছু দ্বায়িত্বহীন কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে শাহ আলমের বাড়ির কাছে এসে তাঁকে গালিগালাজ করে, হুমকি দেয়। দলীয় কর্মী শেখ মালেককে মারধর করে ওরা। এমনকী মহিলাদের উপর হামলা চালায়। ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা।” |
|
|
|
|
|