বাসে করে রাঁচি যেতে হচ্ছে বাংলাকে |
সিএবি-র বাউন্সারে বেসামাল লক্ষ্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জাতীয় টি-টোয়েন্টির (সৈয়দ মুস্তাক আলি) পরের পর্বে পৌঁছেও লক্ষ্মীরতন শুক্লদের কপালে যে এমন দুর্ভোগ লেখা থাকবে, কে জানত!
বৃহস্পতিবার ওড়িশার কাছে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৩৪ রানে বাংলা হেরে গেলে কী হবে, প্রথম তিনটে ম্যাচ জেতায় পরের পর্বে যেতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এ দিন সন্ধেয় কলকাতায় পা দিয়েই সিএবি আয়োজিত অভিনব যাত্রাসূচির খোঁজ পেয়ে আক্কেলগুড়ুম বাংলা ক্রিকেটারদের।
পরের পর্বে বাংলা নামছে আগামী ২৪ মার্চ। রাঁচি। কিন্তু লক্ষ্মীরতন শুক্ল-ঋদ্ধিমান সাহাদের কপালে ফ্লাইট দূর অস্ত, নিদেনপক্ষে ট্রেনও জুটল না।
তাঁরা যাচ্ছেন বাসে!
এবং পুরোটাই হচ্ছে সিএবি কর্তাদের গাফিলতিতে। সিএবি কর্তাদের নাকি আন্দাজ ছিল না, বাংলা পরের পর্বে উঠলেও কবে ম্যাচ পড়তে পারে। কারা টিমের সঙ্গে যেতে পারেন। ফ্লাইটে আগাম বুকিংয়ের ভাবনাও তাই মাথায় আসেনি।
সিনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “ফ্লাইটে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি। ট্রেনেও হল না। তাই ভলভো বাসে টিমকে পাঠানো হচ্ছে।” যা শুনে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের কেউ কেউ। প্রশ্ন উঠছে, ফ্লাইটে ‘বাল্ক বুকিং’ বলে যখন একটা ব্যবস্থা আছে, তখন সে চেষ্টা করা হল না কেন? ফ্লাইটে না পেরে শেষ পর্যন্ত তড়িঘড়ি ট্রেনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানে গোটা টিমকে একসঙ্গে বুকিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সিট পড়ছিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ক্যুপ-এর ভাবনা শুরুতেই ছাড়তে হয়েছিল। এসি টু বা থ্রি-তেও একসঙ্গে বুকিং পাওয়া যায়নি। অগত্যা, বাস। ২৩ মার্চ যা করে বাংলাকে যেতে হচ্ছে। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ট্র্যাভেল করে। ক্রিকেটাররা শুনে কেউ আশ্চর্য, কেউ চূড়ান্ত হতাশ। টিমের এক সিনিয়র ক্রিকেটার বলছিলেন, “বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমরা বাসে যাচ্ছি। এ সবের পর আমরা চ্যাম্পিয়ন হব, ভাবাটা কি ঠিক?”
এ দিন অবশ্য গ্রুপ পর্বের শেষটা ভাল হল না। প্রথমে ব্যাট করে ওড়িশা এ দিন তোলে ১২৯।
অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল (৩-২৭) ও ইরেশ সাক্সেনা (৩-২২)। জবাবে বাংলা শেষ ৯৫ রানে। সর্বোচ্চ দেবব্রত দাস (২১ ন:আ:)। |