যুবরাজ সিংহের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভিড় করার ছবিটা দেখে খুবই ভাল লাগল। শুধু তাই নয়, সচিন, ধোনি, কোহলি, সহবাগ সবাই যখন একে একে যুবরাজ নিয়ে কথা বলছিল, শুনে বেশ আবেগপ্রবণও হয়ে পড়ছিলাম। আমি আবারও যুবিকে বাকি জীবন আর দুর্ধর্ষ একটা কেরিয়ারের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। টেস্ট সিরিজ ইতিমধ্যেই জিতে যাওয়ায় ভারতীয়রা মানসিক দিক থেকে এখন খুবই ভাল জায়গায়। ওরা কোটলায় অস্ট্রেলিয়াকে ৪-০ হারানোর জন্য ঝাঁপাবেই। আর আমি বিশ্বাস করি, ৪-০ হতে যাচ্ছে।
স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয়দের মতো মানসিক অবস্থায় অস্ট্রেলীয়রা নেই। শেষ টেস্টটা ড্র করতে হলেও ওদের নিজেদের সেরাটা তো বটেই, সঙ্গে যাবতীয় স্ট্র্যাটেজি বার করে আনতে হবে। মাইকেল ক্লার্ককেও চেষ্টা করতে হবে যে কোনও উপায়ে টেস্টে নেমে পড়ার। গত দশ দিনে ওর টিমের উপর দিয়ে যা ঝড় বয়ে গিয়েছে, তার পর যদি অধিনায়ক বাইরে বসে থাকে, বিশেষ কোনও ভাল বার্তা তাতে পৌঁছবে না। |
এক টেস্টের নির্বাসনের পর ভারতে ফিরেছে শেন ওয়াটসন। দিল্লিতে ওকে অবশ্যই খেলানো উচিত মোজেস এনরিকের বদলে। এনরিকে বলতে গেলে সিরিজে কিছুই করেনি। ওকে টিমে রাখার তাই যুক্তি নেই। তেমনই চোট পাওয়া মিচেল স্টার্কের জায়গায় ফেরানো উচিত জেমস প্যাটিনসনকে। মোহালির পর এটা ঘটছে বলে স্টার্কের খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার এখন আট নম্বরে স্টার্কের ব্যাটিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি করে দরকার পেসার প্যাটিনসনকে। হাডিনের বদলে ওয়েডের ফেরা নিয়ে আমি মোটামুটি নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া ভাগ্যবান যে, তিনটে টেস্টেই ওরা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু পরে ব্যাট করার জন্যও অস্ট্রেলিয়াকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আর সেটা যদি শেষ পর্যন্ত হয়, তা হলে কোটলার মন্থর ট্র্যাকে আরও একবার চরিত্রের পরীক্ষায় বসতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। সমস্যা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত কোনও রকম উন্নতির চিহ্ন দেখায়নি। দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে ওদের পারফরম্যান্স।ভারতের কথায় আসি। আমার মনে হয় শিখর ধবনের জায়গায় খেলানো উচিত রাহানেকে। ছেলেটা অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করে আছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাহানে কতটা মাননসই সেটাও বুঝে নেওয়া দরকার। যদিও আমি মনে করি না, মাত্র একটা টেস্ট দেখে সব কিছু বিচার করা উচিত। এই একটা ছাড়া ভারতীয় টিমে আর কোনও বদলের প্রয়োজন দেখছি না।
|