ডাক্তার দেখিয়ে এসে সবে ঘরে ঢুকেছিলেন শম্ভু ঘোষ। তাঁর পায়ে প্লাস্টার। আচমকা তিনি দেখলেন, ঘরের দরমার দেওয়াল আগুনে জ্বলছে।
শম্ভুবাবুর মতো অন্য বাসিন্দারাও কোনও মতে বাইরে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচলেও বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ন’টি ঘর। ঘরছাড়া হলেন প্রায় ৫০ জন। বৃহস্পতিবার সকালে, বালির পি এন ঘোষ রোডের ঘটনা। দমকলের চারটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। হতাহতের কোনও খবর নেই। |
আগুন দেখে বস্তি লাগোয়া বহুতল ও বাড়ির ছাদ থেকে বাসিন্দারাই প্রথমে বালতি করে জল ঢালতে শুরু করেন। লাগোয়া দু’টি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে আসেন বিভিন্ন দলের নেতারা। তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, গ্যাস লিক করেই এই ঘটনা। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ঘর তৈরির বিষয়ে সাহায্য করা হবে।
লক্ষ্মীকান্ত দাস নামে এক বাসিন্দা বললেন, “বৈশাখ মাসে মেয়ের বিয়ে, তাই অল্প-অল্প করে জিনিস কেনা শুরু করেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।” পোড়া জিনিসের স্তূপ থেকে কালো হয়ে যাওয়া লণ্ঠন হাতে তুলে কান্নায় ভেঙে পড়ে আশি বছরের বৃদ্ধ হারাধন আচার্য বললেন, “বাবার স্মৃতি বাঁচাতে পারলাম না।” |