তৃণমূলের বিক্ষোভে পাট্টা বিলির কাজ বন্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েতে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাঙ্গিপাড়া ব্লকে মোট ১০১ জন গ্রামবাসীর পাট্টা জেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে সকাল ১১টা থেকে ওই পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ৪৪ জন গ্রামবাসী পাট্টা নিতে এসেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন জাঙ্গিপাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিধানচন্দ্র পাণ্ডে ও সিপিএম পরিচালিত জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত মালিক।
অভিযোগ, ১২ জন গ্রামবাসীকে পাট্টা দেওয়ার পরেই তৃণমূলের সমর্থকেরা হইচই করতে শুরু করেন। পাট্টা বিলি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের চাপে বন্ধ করে দেওয়া হয় পাট্টা বিলির কাজ। সিপিএমের অভিযোগ, পাট্টা বিলি বন্ধ করার জন্য স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে হুমকি দেয়। শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক জয়সি দাসগুপ্ত বলেন, “কিছু গ্রামবাসী বিডিওর কাজে অভিযোগ করেন যে, যাঁদের পাট্টা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের অনেকেরই নিজস্ব জমি রয়েছে। একজনের দোতলা বাড়িও রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।” কিন্তু প্রশাসন তো সব পরীক্ষা করেই এই পাট্টা বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা হলে? মহকুমাশাসক বলেন, “এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে সেটাই তদন্ত করে দেখা হবে।”
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত মালিক বলেন, “তৃণমূল নেতারা হয়তো ভেবেছেন, সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে গ্রামবাসীরা পাট্টা পেলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওরা পিছিয়ে পড়বে। প্রশাসনও ওদের কথায় সায় দিল। এটা হাস্যকর।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “পুরোটাই প্রশাসনিক ব্যাপার। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সর্ম্পক নেই। সাধারণ গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেটা নিয়ে সিপিএম রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।” |