২০২০ সালের ভেতর দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রথম তিন রাজ্যের মধ্যে স্থান করে নেওয়ার দৌড় শুরু করেছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার সফটওয়্যার এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল আয়োজিত ইন্ডিয়া সফট অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন শিল্প তথা তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সেই দৌড়ে সাহায্য করতে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতিও ঘোষণা করা হয়েছে বলে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার প্রতিনিধিদের জানান।
কাউন্সিলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে দেশের মোট সফটওয়্যার ও পরিষেবা রফতানির মাত্র ২.৯১% রাজ্যের দখলে। হার্ডওয়্যারে তা আরও কম। দেশের মোট রফতানির এক শতাংশও ছুঁতে পারেনি রাজ্য থেকে হার্ডওয়্যার রফতানির পরিমাণ। যদিও সফট্ওয়্যারের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামাল দিতে এ বার হার্ডওয়্যারে নজর দিচ্ছে রাজ্য।
রাজ্য জুড়ে ১৫টি হার্ডওয়্যার ক্লাস্টার তৈরি হবে, জানান পার্থবাবু। ২৬টি তথ্যপ্রযুক্তি হাব বা কেন্দ্র তৈরি হবে। তার মধ্যে ১৫টি হার্ডওয়্যার শিল্পের জন্য বরাদ্দ করেছে সরকার। মিলন মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত ইন্ডিয়া সফট প্রদর্শনীতে এসেছে ৭০টি সংস্থা। ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা আছেন। কাউন্সিলের অন্যতম কর্তা ডি কে সারিন জানান, ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে ভারতের সফট্ওয়্যার রফতানি বৃদ্ধি ১০% ছোঁবে। এবং তা আরও বাড়বে আগামী অর্থবর্ষে। বিশ্ব কাপ ও অলিম্পিকের জন্য গড়া হবে ১৮,০০০ কোটি ডলারের পরিকাঠামো। তার প্রায় ৬% বরাদ্দ হবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য। সারিনের দাবি, এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে লাভ হবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির। |