পড়শি যুবককে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল চার জনের। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুধীর কুমার ওই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হল— লালন শেখ, সেলিম শেখ, মিলন শেখ, কোয়াতাব শেখ। তাদের বাড়ি মুরারই থানার কনকপুর গ্রামে।
সরকারি আইনজীবী দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান, ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল কনকপুরে পুকুরে চান করা নিয়ে কাজিবুল শেখের সঙ্গে পড়শি লালন শেখের ঝগড়া হয়। পরে পূর্ব আক্রোশবশত অস্ত্র ও অ্যাসিড বাল্ব নিয়ে কাজিবুলের বাড়িতে চড়াও হয় লালন ও তার সঙ্গীরা। কাজিবুলকে বাইরে বের করে এনে লাঠি ও টাঙ্গি দিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে মৃতের ভাইপো মান্নান শেখ পুলিশের কাছে ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। জামিনে থাকা আসামিদের বুধবার বিচারক সুধীর কুমারের এজলাসে তোলা হয়েছিল। এক এক করে ডেকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করছিলেন। সেই সময় এজলাসেই কীটনাশক খেয়ে নেয় ওয়াব শেখ। ভাইকে বমি করতে দেখে জেল হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়ে দাদা কুদ্দুস শেখ। ভাইকে প্রথমে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয় ও দাদা রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দাদা ও ভাই অসুস্থ থাকায় তাদের এ দিন সাজা শোনানো হয়নি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ এপ্রিল ওই দু’জনের সাজা শোনানো হবে। |