হস্টেলে নিয়মিত জল সরবরাহের দাবি
ষ্টেলে নিয়মিত জল সরবরাহের দাবিতে মুখ্য বাস্তুকারের দফতরের কর্মীদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ছাত্রাবাসের আবাসিকেরা। বৃহস্পতিবার এমনই ঘটল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ছাত্রাবাসে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রায় ২০০ পড়ুয়া আবাসিক হষ্টেল থেকে বেরিয়ে হাতে লাঠি নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে এসে কর্মীদের বের করে দেন। তারপরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলেও যান তাঁরা। যাওয়ার সময় ওখানে জমা হওয়া বাস্তুকার ও অন্যান্য দফতরের কর্মীদের বলেন, যে এই তালা খুলবেন, তাঁকে কঠোর সাজার মুখে পড়তে হবে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েও। টেলিফোনে রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় বলেন,“ছাত্রদের এতটা অসুবিধা হওয়ার খবর জানতাম না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বাস্তুকারের অফিসে তালা। —নিজস্ব চিত্র।
অরবিন্দ হষ্টেলের ছাত্র অখিল নন্দী, সুতীর্থ চট্টোপাধ্যায়, দীপক পাত্রদের অভিযোগ, “টানা ১৫ দিন ধরে ক্লাস করতে যাবার আগে দেখছি বাথরুমে জল নেই। ফলে পুকুরে গিয়ে বা রাস্তার কলে গিয়ে আমাদের স্নান করতে হচ্ছে। বারবার রেজিষ্ট্রার, মুখ্য বাস্তুকারকে বলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের আন্দোলনে নামতে হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ বলেন, “যতক্ষণ না ওই হষ্টেলের জল সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ বাস্তুকারের দফতরের তালা খোলা হবে না।”
ঘটনার খবর পেয়ে ভ্যান ভর্তি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গেলেও, ছাত্রদের বাধা দেবার চেষ্টা করেননি তাঁঁরা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, “আমাদের বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে থাকতে । কাউকে বাধা দেওয়ার নির্দেশ পাইনি।” বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কেউ ওই কাজ ঠেকানোর নির্দেশ দেননি। তাই পুলিশ কিছু করেনি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.