|
|
|
|
কুড়ুলের কোপ মেরে ভাইকে খুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আয়না ভেঙে ফেলায় ছোট ভাইকে কুড়ুলের কোপ দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে প্রধাননগর থানার কুলিপাড়ার ধর্মনগর এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গণেশ পাসোয়ান (২৪)। পুলিশ ওই ঘটনায় বড় ভাই দীনেশকে গ্রেফতার করেছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খুনের পর দীনেশ ‘খুন করেছি’ বলে চিৎকার করে নিজে গিয়েই থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ওজি পাল বলেন, “ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। যে কুড়ুল দিয়ে খুন করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, দীনেশ ও গণেশ দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়িতে বসবাস করছিল। দীনেশ বিয়ে করলেও গণেশ অবিবাহিত। তাঁরা দিনমজুরির কাজ করে। ওই দিন সকালে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে কাজে বেরিয়ে যায় দীনেশ। রাতে দু’জনে বাড়ি ফেরে। গণেশ বাড়িতেই ছিল। ঘরের আয়না ভাঙা দেখে গণেশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দীনেশ। দুই ভইয়ের হাতাহাতি শুরু হলে ঘর থেকে একটি কুড়ুল বের করে ছোট ভাইয়ের মাথায় এলোপাথারি কোপ দেয় দীনেশ। এর পরে সে থানার দিকে চলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে গণেশকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই রাত আড়াইটা নাগাদ গণেশের মৃত্যু হয়।
গণেশদের আত্মীয় চানু পাসোয়ান জানান, বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর গণেশের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে মালবাজারে চলে গিয়েছেন। তার পর থেকে দুই ভাই একসঙ্গে থাকতেন। চানুবাবু বলেন, “পাশাপাশি বাড়ি আমাদের। এর আগে কখনও সে ভাবে দুই ভাইকে মারামারি করতে দেখেনি। এদিন এভাবে ছোট ভাইকে দীনেশ খুন করবে কেউ ভাবতে পারেনি।” ওই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এলাকার কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক বলেন, “ঘটনা জানার পরই সেখানে যাই। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|