|
|
|
|
নয়া সংগঠনে যোগ দিলেন না রঞ্জন, বিতর্ক |
নমিতেশ ঘোষ • শিলিগুড়ি |
দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনে যোগ না গিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সহ সভাপতি তথা কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা। তৃণমূল সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওয়েস্টবেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়শনের দার্জিলিং জেলা কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নকশালবাড়ির তৃণমূল নেতা তপন কুণ্ডু এবং দীপেশ অধিকারীর নাম ঘোষণা হয়। সংগঠনে যোগ দেননি রঞ্জনবাবু। তিনি একটি ডানপন্থী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, একসময়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিলিগুড়ির তদানীন্তন ডিআইয়ের মুখে থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে মামলা হয়। তিনি দীর্ঘদিন সাসপেন্ড ছিলেন। ফেরার থাকার পরে কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়ে শিলিগুড়ি ফেরেন। এখনও সেই মামলা বিচারাধীন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তাই রঞ্জনবাবু নয়া সংগঠনে যোগ না-দেওয়ায় দলের অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শ্যাম পাত্র বলেন, “চলতি বছরেই ওই সংগঠনের কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি জেলাতে কমিটি তৈরি করছি। সবাইকে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। অনেকে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু রঞ্জনবাবু যোগ দেননি।” তিনি জানিয়েছেন, যারা সংগঠনে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের মধ্যে থেকে নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। রঞ্জনবাবু বলেন, “ওই সংগঠনের কথা আমি শুনেছি। আমি নিজে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছি। প্রচুর শিক্ষক সেখানে রয়েছেন। নতুন সংগঠন হলে দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দলে আমি জেলার সহ সভাপতির দায়িত্বে। ওই সংগঠন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ফলে আমার যোগ দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনে রঞ্জনবাবু বহু বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েই সেই সময়ের শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার (প্রাথমিক) স্কুল পরিদর্শকের মুখে থুতু ছেটানোর অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চরম অস্বস্তিতে পড়েন। তার পরেও রঞ্জনবাবু শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে তৃণমূলের সংগঠনে রঞ্জনবাবু যোগ দেবেন এটাই আশা করেছিলেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। তাঁকে সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান ওই সংগঠনের রাজ্য নেতারা। কিন্তু তার পরেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় তাঁকে বাদ দিয়েই দুই আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। |
|
|
|
|
|