নিম্নমানের রাস্তার কাজ বন্ধ করার দাবিতে চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ইয়েসা তামাংকে ছয় ঘন্টা ঘেরাও করে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী বিডিও অফিসে যায়। ঘেরাও-র সময় দাবি মেনে বিডিও রাস্তার কাজ বন্ধ না করায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেসীরা বিডিওর ঘরের দরজা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এসডিপিওকে ঘটনাস্থলে। বিডিও অফিসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর, মালতিপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নিম্নমানের রাস্তার কাজের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেও রাস্তার কাজ বন্ধ না করায় এলাকায় বাসিন্দারা ক্ষেপে যান। বিডিও কাজ বন্ধ না করায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাস্তার কাজ বন্ধ করার দাবিতে এর আগে দুইবার স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব বিডিওকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু তারপরেও কাজ বন্ধ না হওয়ায় এদিন ১২ টা নাগাদ চাঁচল ২ নম্লর ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্বে কয়েকশ কংগ্রেস কর্মী বিডিও অফিস ঘেরাও করেন। সন্ধ্যায় ছয়টা অবধি মহিলা বিডিওকে ঘেরাও করে রাখা হয়।
চাঁচল মহকুমা শাসক পলাশ সেনগুপ্ত কংগ্রেস এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিম্নমানের রাস্তার কাজ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি। কিন্তু কাজ হঠাৎ করে বন্ধ করা যায় না। কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কাজ বন্ধ করার জন্য বিডিওকে মুচলেকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বিডিও রাজি না হওয়ায় আন্দোলনকারীরা বিডিও অফিস ভাঙচুর করেছে।” বিডিও ইয়েসা তামাং বলেন, “আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানাব।”
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র রায় বলেন, “আমাদের নেতা কর্মীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিচ্ছিল। আমাদের কেউ বিডিও অফিসে ভাঙচূর করেননি। কারা কী করেছে আমারা জানি না।” তিনি জানান, চাঁচল ২ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন বেআইনি ভাবে টেন্ডার করেছে। কাজও নিম্নমানের হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ এর বিরোধিতা করেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে ছিলাম। কাজ বন্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। |