গণধর্ষণে অভিযুক্তরা সকলে কেন ধরা পড়েনি, এ প্রশ্ন তোলায় অভিযোগকারিণীর বাড়ির লোককে লকআপে ঢুকিয়ে মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে মালদহের কালিয়াচক থানায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগকারিণীর ঠাকুমার নালিশ শুনে মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস গিয়েছেন। পুলিশ সুপার বলেন, “একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১ জন ধরা পড়েছে। বাকি দুজন কেন ধরা পড়েনি, এ কথা জানতে চাইলে থানার দুই অফিসার নাকি মারধরের হুমকি দিয়েছেন। এমন অভিযোগ পেয়েছি। কিছু নিশ্চয়ই হয়েছে। না হলে একজন মহিলা কাঁদতে কাঁদেতে আমার কাছে আসবেন কেন? ওই দুজন অফিসারকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছি। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।” পুলিশ সুপার জানান, ওই মহিলার সঙ্গে দুই অফিসারের ভুল বোঝাবুঝিও হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালিয়াচক থানার যে দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের নাম হল রামচন্দ্র সাহা ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা কেন হুমকি দিতে যাব?” কালিয়াচক থানার আইসি সু্ব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “এ সব বাজে কথা।” কালিয়াচক থানা এলাকায় ১৩ মার্চ এক নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীটি এক বন্ধুর সঙ্গে যখন কথা বলছিল, সেই সময়ে তিন যুবক তাকে তুলে লাগোয়া লিচুবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। চেঁচামেচি শুনে বাসিন্দারা ছুটে যান। ছাত্রীটিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ইতিমধ্যে ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্তদের নাম জানতে পারে। পর দিন স্থানীয় মহিলারা তিন সন্দেহভাজনের বাড়িতে চড়াও হয়ে কারিমূল শেখ নামে এক জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বাকি দুই অভিযুক্ত বুড়া শেখ ও সফিকুল শেখ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। শনিবার ছাত্রীটির গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সে দিন মালদহে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধীর সফর ছিল। সোমবার ছাত্রীটির ঠাকুমা কালিয়াচক থানায় যান। তিনি বলেন, “আমি জানতে চেয়েছিলাম, অন্য দু’জনকে কেন ধরা যাচ্ছে না। তখনই ওই দুজন অফিসার আমাদের লকআপে নিয়ে মারধরের হুমকি দেয়।” |