নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল চিকিৎসাধীন এক রোগীর। সোমবার, বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে। মৃত নন্দকুমার মালের (৪৩) বাড়ি গড়িয়া এলাকায়।
পুলিশ জানায়, এ দিন নিজের কেবিনে গলায় একটি যন্ত্রের তারের ফাঁস লাগানো অবস্থায় নন্দবাবুর দেহ মেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত নন্দবাবু ভর্তি হন ৪ মার্চ। সোমবার ভোরে তাঁর চেক আপ হয়। পরে হাসপাতাল কর্মীরা কেবিনে এসে নন্দবাবুকে ওই অবস্থায় দেখেন। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ইনফিউশন মেশিন নামে ওই যন্ত্রটি খাটের পাশেই ছিল। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।
বিকেলে নগর দায়রা আদালতে উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয় অসিত ঘোষ (৭০) নামে এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, আদালত বন্ধের পরে উপর থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে ছুটে যান আইনজীবী ও অন্য কর্মচারীরা। খবর যায় পুলিশে। মেডিক্যালে অসিতবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তির পাশে একটি ফাইল পড়ে ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, ফাইলে এক আইনজীবীর ভিজিটিং কার্ড মেলে। তাঁকে ফোন করে জানা যায়, আদালতে একটি মামলা চলায় প্রায়ই আসতেন অসিতবাবু। এ দিনও ওই আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পুলিশ জানায়, ওই আইনজীবীর দাবি, তাঁদের দেখা হয়নি।
পুলিশ জানায়, বাগুইআটির বাসিন্দা অসিতবাবু একটি জুতো তৈরির সংস্থায় কাজ করতেন। অবসরের পরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ওষুধের ব্যবসা করছিলেন। পুলিশের অনুমান, অসিতবাবু আত্মহত্যা করেছেন। যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “আমরা জেনেছি, ছ’বছর আগে অসিতবাবুর ছেলেও ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন।” |