একেই মেয়র পারিষদরা কেউ নেই। তার উপর ব্যক্তিগত কাজে মেয়র শহরের বাইরে রয়েছেন। তাতে কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে শহর। সোমবার পুর পরিষেবার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাই অভিযোগ জানাতে গিয়ে মেয়রকে না-পেয়ে ফিরে গিয়েছেন অনেকেই। এ দিন পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহের পাইপ লাইন ফেটে সমস্যা দেখা দেয়। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত অবশ্য বলেন, “শহর অভিভাবকহীন হওয়ার প্রশ্নই নেই। বাইরে তাকলেও এ দিন ফোনে প্রতিটি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলেছি। কোথায় কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বুধবারই তিনি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
কাউন্সিলরদের মধ্যেও অনেকে এ দিন মেয়রকে খোঁজ করেন বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে। পরে মেয়র নেই জেনে তাঁরা ফোনে যোগাযোগ করে কথা বলেছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চানাপট্টিতে একটি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে এ দিন অভিযোগ জানাতে মেয়রে দফতরে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর রুমা নাথ। মেয়র বাইরে রয়েছে তিনি জানতেন না। মেয়রকে না পেয়ে তিনি বিল্ডিং বিভাগে গিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তাঁর ওয়ার্ডে চানাপট্টিতে নকশা অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে একটি বাড়ির দোতলার ছাদ ঢালাইয়ের সময় তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেই সময় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ সম্প্রতি এ দিন কাউন্সিলর জানতে পারেন চানাপট্টির ওই বাড়িটি ইতিমধ্যেই ৪ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। কী ভাবে তা হল তা নিয়ে বিল্ডিং বিভাগে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুমাদেবী। এমনকী তা নিয়ে আপত্তি তোলায় অভিযুক্ত বাসিন্দা প্রদীপ্ত সরকার তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
প্রদীপ্তবাবু অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। ফোনে মেয়র বলেন, “প্রদীপ্তবাবুর এক আত্মীয় পুরসভায় ওই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। রুমাদেবীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। শহরে ফিরেই এ বিশয়ে ব্যবস্থা নেব।”
এ দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক জায়গায় পাইপ ফেটে পানীয় জল সরবরাহের পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়। একই সমস্যা দেখা দেয় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডেও। মেয়রের নির্দেশে জল সরবরাহ বিভাগের কর্মীরা গিয়ে পাইপ মেরামতের কাজ শুরু করেন। উল্লেখ্য, দলত্যাগী নান্টু পালকে চেয়ারম্যান করার ঘটনায় গত ১৪ মার্চ মেয়র পারিষদদের সমস্ত পদ খারিজ করে দেন মেয়র। সেই থেকে সমস্ত দফতরের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে মেয়রকেই। |