শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নামল ডিওয়াইএফ। সোমবার এসজেডিএ’র দফতরে মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিকের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের পরে তারা ওই দাবিতে স্মারকলিপি দেয়। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এসজেডিএ’র চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। চেয়ারম্যানের পাশাপাশি দুর্নীতির সঙ্গে দফতরের আধিকারিক, ঠিকাদার, নির্মাণ কাজের সামগ্রী সরবরাহকারীদের একাংশও জড়িত। বোর্ডের সদস্যদের একাংশের ভূমিকাও দেখা দরকার। তদন্ত করে দোষীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তাদের শাস্তি দিতে হবে।” আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে দফতর ঘেরাও করে বড় ধরনের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।
এ দিন দফতরে নতুন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক হিসাবে যোগ দিয়েছেন শরদ দ্বিবেদী। তাঁর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এসজেডিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “দায়িত্ব পেলেও এখনও এসজেডিএতে যাইনি। বিধানসভা অধিবেশনের জন্য কলকাতায়। ফিরে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে যা বলার বলব।’’
ত্রিফলা আলো, জোড়াপানি নদী খাত সংস্কারের মতো বিভিন্ন কাজে এসজেডিএ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ১৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিন রাজ্যের নগরোন্নয়নের দফতরের তরফে এক নিদের্শিকায় রুদ্রবাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ন্ত্রী গৌতম দেবকে।
ডিওয়াইএফের অভিযোগ, বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তদন্ত কমিটি গড়ে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। অভিযুক্তদের বাঁচাতে চেষ্টা করা হচ্ছে। রুদ্রবাবু থাকার সময়ে এসজেডিএতে অন্তত ২০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা আশাবাদী, নতুন চেয়ারম্যান দাবি মেনে তদন্ত করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেবেন। |