পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শিবু সোরেন গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতে রাঁচি যাচ্ছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। সোমবার গরুবাথানের কুমানিতে দলীয় বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়ে গুরুঙ্গ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে আমরা প্রার্থী দিচ্ছি। তবে জন বার্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে। যে হেতু জন বার্লারা জেএমএম সোরেন গোষ্ঠীর প্রতীকে লড়তে চান, তাই ওই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। ২৪ মার্চ রাঁচি যাব।” জন জানান, শীঘ্রই রাঁচি যাওয়ার দিন ঘোষণা হবে।
গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের সময়ে তাঁর সফরসঙ্গী সর্বভারতীয় তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জন বার্লা। উভয় তরফে পঞ্চায়েত ভোটে আসন নিয়ে প্রস্তাব আদানপ্রদান হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জন বার্লা গোষ্ঠী কি তৃণমূলকে সরিয়ে রেখে মোর্চার সঙ্গে জোট গড়ে লড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করল? বার্লার জবাব, “রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ বাণী করা যায় না।”
অবশ্য মোর্চার সঙ্গে জেএমএম শিবু সোরেন গোষ্ঠীর যোগাযোগ নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালে শিবু সোরেন দার্জিলিঙের পাতলেবাসে গিয়ে বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ডুয়ার্সে প্রচারে গেলে অশান্তির আশঙ্কা করছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে। তিনি বলেন, “মোর্চা নেতৃত্বরা ডুয়ার্সে সভা করার চেষ্টা করলে তা আমাদের সমর্থকরা বরদাস্ত করবে না। প্রশাসনের সে দিকটি আগেই ভাবতে হবে।” কংগ্রেস তৃণমূলের পর এ বার দল ছেড়ে আরএসপি’তে যোগ দিলেন মোর্চা কর্মী ও সমর্থকরা। সোমবার বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের নাংডালা বাগান এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে তিন বাগানের মাট তিনশ জন মোর্চা ছেড়ে আসা কর্মীর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন আরএসপি নেতৃত্ব। মোর্চা ছেড়ে আসা কর্মী-সমর্থকরা সকলে নাংডালা, জয় বীরপাড়া ও ডিমডিমা চা বাগানের শ্রমিক বলে দাবি করেন আরএসপি নেতা গোপাল প্রধান। ডুয়ার্সের মোর্চা নেতারা অবশ্য কেউ দল ছেড়ে যাবার ঘটনা এ দিন অস্বীকার করেছেন। |