যাতায়াতের সময় সেতু নড়বড় করে। আগে ভ্যানরিকশা, মোটরভ্যান চলাচল করলেও সেতুর ভাঙাচোরা অবস্থার জন্য বহু আগেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে মালপত্র নিয়ে হেঁটেই কাঠের সেতু পারাপার করেন এলাকার মানুষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বামনঘাটার কাছে এসডিএফ খাল বা তোপসিয়া ঘুসিঘাটা ময়লা খালের ওপর দীর্ঘদিনের এই কাঠের সেতুর মাধ্যমে বামনঘাটা অঞ্চলের সঙ্গে বাসন্তী হাইওয়ের যোগ রয়েছে। এই বাসন্তী হাইওয়ের মাধ্যমে চলে যাওয়া যায় কলকাতাতেও। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির অবস্থা বেশ খারাপ। বহু জায়গাতেই সরে গিয়েছে কাঠের পাটাতন। ভেঙে গিয়েছে দু’ধারের কাঠের রেলিং। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকার মানুষজন। মালপত্র নিয়ে হেঁটেই সেতু পারাপার করতে হচ্ছে তাঁদের। আর গাড়ি নিয়ে অনেকটা পথ ঘুরে ভোজেরহাট ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে চালকদের। |
বামনঘাটা এলাকায় রয়েছে প্রচুর মেছোভেড়িও। প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এই সেতু পেরিয়ে মৎস্যজীবীরা মাছ নিয়ে আসেন বামনঘাটা বাজারে। তাই সেতু সংস্কার না হওয়ায় তাঁদের ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানালেন তাঁরা। বামনঘাটার হাটগাছার কাছে একটি ওয়াটার পার্কের বিনোদন ব্যবসাও এই সেতুর জন্যে অসুবিধায় পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুফল মণ্ডল, কৃষ্ণকান্ত মণ্ডল বলেন, “কাঠের ভাঙাচোরা সেতুটি সারানোর ব্যাপারে বহুবার সংশ্লিষ্ট প্রসাসনের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। উল্টে সেতুর অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
বারুইপুরের মহকুমাশাসক পার্থ আচার্য বলেন, “ওই সেতুর বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অবিলম্বে খোঁজ নিচ্ছি। যাতে শীঘ্র সেতুটি সারানো যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সেচ দফতরের কলকাতা ডিভিশনের এসডিও উর্মি পাল বলেন, “ভাঙড় এলাকার অনেক সেতুরই অবস্থা খারাপ। ওই সব সেতু যাতে সংস্কার করা হয় তার জন্য চেষ্টা চলছে।’’ |