বছরখানেক আগেও ছাত্রদের বসার জায়গা দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই ছবি এখন বদলেছে। খাতায় কলমে ৮৫ জন ছাত্র হলেও মেরেকেটে ৩০ জনও স্কুলে যায় না। বর্তমানে জলঙ্গির উদয়পুর কলোনি জুনিয়র হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে ছাত্র রয়েছে মাত্র দু’জন। কেন এই হাল? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলে পড়াশুনো হয় না। শিক্ষকেরা নিয়মিত স্কুলে যান না। |
স্কুলে নানা ধরনের দুর্নীতি হয় বলেও তাঁদের একটা বড় অংশের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এ সব কারণেই বাড়ির কাছে স্কুল থাকলেও তাঁরা ছেলেমেয়েদের পাঠান চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরের স্কুলে। প্রধান শিক্ষক গিরিন্দ্রনাথ দাস অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার আমি। তদন্ত করা হলেই সব প্রমাণ পাওয়া যাবে।” জলঙ্গি দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিরিন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। দুর্নীতির কারণে বন্ধ রয়েছে স্কুলের গৃহনির্মাণের কাজও। স্কুলে না এসেই শিক্ষকেরা হাজিরা খাতায় সই করেন, এমন অভিযোগও পেয়েছি। সব অভিযোগ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে পাঠানো হয়েছে।” |