ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি, এ বার মিলল বন্দুকের গুলি
স্ত্র-কাণ্ডে ধৃত সিপিএম কর্মীকে নিয়ে গিয়ে এ বার এনায়েতপুর থেকে গুলি উদ্ধার করল পুলিশ। মাটি খুঁড়ে গুলিগুলি পাওয়া গিয়েছে সিপিএমের মণিদহ লোকাল কমিটির অফিসের ঠিক পাশ থেকে। পুলিশের দাবি, ধৃত রেণুপদ সিংহ একটি জায়গা দেখিয়ে দেন। পরে সেখানে মাটি খুঁড়ে গুলি উদ্ধার হয়।
গত বুধবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের এনায়েতপুর থেকে মাটি খুঁড়ে ৭০টি বন্দুক-রাইফেল উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। ওই অস্ত্র মজুতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার-সহ ১২ জন দলীয় নেতা-কর্মীর নামে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি করেন তৃণমূলের মণিদহ অঞ্চল সভাপতি অঞ্জনকুমার বেরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মামলাও রুজু করে। আর দীপকবাবুদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিকে সিপিএম সূত্রে খবর, অস্ত্র-কাণ্ডে যাঁদের নামে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের কেউই আত্মগোপন করে থাকবেন না। দলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। নেতৃত্বের বক্তব্য, এটি মিথ্যে মামলা। ফলে লুকিয়ে বা আত্মগোপন করে থাকার প্রশ্ন নেই।
উদ্ধার হওয়া গুলির ছবি তুলছেন পুলিশকর্মী। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার রাতে রেণুপদ সিংহকে ওই অস্ত্র-কাণ্ডে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি সিপিএমের মেদিনীপুর গ্রামীণ (পশ্চিম) জোনাল কমিটির সদস্য। শনিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে তাঁর তিন দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়। সেই মতো আজ, মঙ্গলবার তাঁকে ফের তাঁর আদালতে হাজিরা রয়েছে।
তার আগে সোমবার সকালে রেণুপদকে নিয়ে এনায়েতপুরে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। ছিলেন মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশী। গত বুধবার যেখান থেকে বন্দুক-রাইফেল উদ্ধার হয়েছিল, তার অদূরেই সিপিএমের মণিদহ লোকাল কমিটির অফিস। এই অফিসের পাশে মাটি খুঁড়ে ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। এর মধ্যে ১২ রাউন্ড বন্দুকের গুলি। বাকি ৫ রাউন্ড রাইফেলের। খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও জড়ো হন। তৃণমূলের বক্তব্য, এক সময় এনায়েতপুর ও তার আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র শিবির তৈরি করে ‘জঙ্গলমহল পুনর্দখল’ অভিযান শুরু করেছিল সিপিএম। তখন এখানে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হয়। মণিদহ লোকাল কমিটির অফিসেও সশস্ত্র লোকজন থাকত। ফলে, আশপাশের মাটির নীচে আরও বন্দুক-রাইফেল রয়েছে। তল্লাশি চালালে তা উদ্ধার হবে।
অন্য দিকে, সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এ সবই ষড়যন্ত্র। এক সময় যেখানে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল, সেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.