|
|
|
|
নিষেধাজ্ঞা তুলল রাজ্য |
অটো চালাতে ছাড়পত্র দেবে জেলার পরিবহণ দফতরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও সংস্থার অটো ছাড়পত্র পাবে না এই মর্মে বহু বছর ধরেই নির্দেশ ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। ফলে বহু ক্ষেত্রেই অটো চালানোর অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এ বার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল, পুণের ‘অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’র (এআরএআই) ছাড়পত্র থাকলেই হবে। তা দেখে জেলা পরিবহণ দফতর যদি মনে করে তাহলেই অটো চালানোর অনুমতি দিতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ সূত্রে জানা গিয়েছে, এআরএআইয়ের ছাড়পত্র ছাড়াও একটি শর্ত রয়েছে। তা হল, খালি অটোর ওজন হতে হবে ৪০৫ কেজি এবং যাত্রী-সহ অটোর ওজন ৭২৫ কেজির বেশি করা যাবে না। জেলা পরিবহণ আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “যেহেতু সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে, তাই আমরা প্রয়োজন মতো অটো চালানোর অনুমতি দিতে পারব। কিন্তু আগে থেকেই আমাদের জেলায় ওজনের ব্যাপারটি নির্দিষ্ট করা রয়েছে। ওই ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাসের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ওই ওজনের মধ্যে থাকলে অনুমতি দিতে কোনও অসুবিধে নেই।”
|
|
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গতি আনতে মেদিনীপুর শহরে আরও অটো চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। বহু বেকার যুবক আয়ের জন্য অটো চালানোর অনুমতি চেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। জেলা পরিবহণ দফতর গত জানুয়ারি মাসে ২২৪ জনকে অটো চালানোর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় ছিল, শুধুমাত্র সরকার স্বীকৃত সংস্থার শংসাপত্র থাকলেই হবে না। সেই সংস্থাকে রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দিলে তবেই সেই সংস্থার অটো চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। এই জটিলতায় আটকে গিয়েছিল অটো চালানোর অনুমতি দেওয়ার কাজ।
এ বার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দ্রুত ওই ২২৪টি অটো চালানোর জন্য পদক্ষেপ করা হবে বলে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে। তারই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যাতে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হয় তার লক্ষ্যেই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা পরিবহণ বোর্ডের সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “মূলত ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা স্থানীয় সমস্যার কথা রাজ্য পরিবহণ দফতরে জানিয়েছিলাম। যাতে যে কোনও জেলা প্রশাসন তাদের সমস্যার নিরিখে চাহিদা মেটাতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা।” |
|
|
|
|
|