|
|
|
|
হোটেল থেকে ছড়াল আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিধ্বংসী আগুন ছড়াল হলদিয়ার সুতাহাটা বাজারে। রবিবার মধ্যরাতে এই ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আসে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ায় আগুন নেভাতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। জখম হয়েছেন পাশের এক মিষ্টি দোকানের কর্মী। তিনি হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়াগামী বাসস্ট্যান্ডের উল্টো দিকে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সংলগ্ন বেশ কিছু দোকান রয়েছে। এ দিন রাত ১২টা নাগাদ আগুন লাগে সেখানেরই একটি হোটেলে। কী ভাবে আগুন লেগেছে বুঝে ওঠার আগেই ফেটে যায় হোটেলের মধ্যে থাকা একটি গ্যাস সিলিন্ডার। বিকট আওয়াজে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ ও দোকানদাররা। স্থানীয় দোকানদার জহর দাসের কথায়, “সব পুড়ে যাচ্ছে শুনে বাড়ি থেকে ছুটে চলে আসি। হোটেলের ভিতরে এক মহিলা ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁকে প্রথমে দরজা ভেঙে বার করা হয়।” আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে পিছনের মিষ্টির দোকানের এক কর্মী আহত হন। সুতাহাটা থানা মারফত খবর যায় হলদিয়া দমকলে। ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। |
|
আগুন নেভানোর পরে। —নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু দমকল আসার পরেও ইঞ্জিন চালু করতে সময় লাগে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জল না থাকায় দমকলের একটি ইঞ্জিন যায় জল আনতে। ততক্ষণে ফেটে যায় হোটেলে মজুত আরও দু’টি গ্যাস সিলিন্ডার। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি ট্রাঙ্ক, স্টেশনারি, জেরক্স ও চানাচুরের পাইকারি দোকানে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশাপাশি আরও কিছু দোকান। তমলুক থেকে আসে দমকলের আরও দু’টি ইঞ্জিন। হলদিয়ার ধানসিঁড়ি কারখানা থেকেও যায় একটি দমকলের ইঞ্জিন। এর পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে আগুন নেভানোর কাজ। রাত তিনটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে ওই ছ’টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। চারটে নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত মিষ্টির দোকানের মালিক শুকদেব বেরা বলেন, “দমকল একটু আগে এলে এতখানি ক্ষতি হত না। এক ঘণ্টা পরে এলেও দমকলের ট্যাঙ্কে জল ছিল না। সব ছাই হয়ে গেল। আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।”
হলদিয়ার দমকল বিভাগের ওসি কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল অবশ্য দাবি করেছেন, খবর পাওয়ার কুড়ি মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকল। কার্তিকবাবু বলেন, “কী ভাবে আগুন লেগেছিল, তা এখনই বলতে পারব না। তবে পরপর তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় বিপত্তি বেড়েছে। মোট পাঁচটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”
জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল নেতা আনন্দময় অধিকারী বলেন, “দমকল আরও আগে এলে ভাল হত। আগুন কী ভাবে লেগেছে তদন্ত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দ্রুত ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|