এডে চিডি বনাম ওডাফা ওকোলির লড়াইয়ে রিংয়ের বাইরে ছিটকে গেছেন মোহন-অধিনায়ক। এ বার চিডি বনাম র্যান্টি মার্টিন্সের লড়াইয়ে জিতবে কে?
আইএফএ শিল্ডের ফাইনালের আগে চিডি আর র্যান্টি দু’জনেই তেতে রয়েছেন। কেউই কাউকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নন। সোমবার বিকেলে যুবভারতীতে অনুশীলনের পর র্যান্টি বলছিলেন, “লড়াইটা আমার আর চিডির নয়। দুটো দলের লড়াই এটা।” অন্য দিকে চিডির পালটা জবাব, “আমরা প্রয়াগের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলব। র্যান্টির বিরুদ্ধে নয়।”
শিল্ড ফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে সোমবার র্যান্টি যখন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন পিঠের ব্যথায় জেরবার এডে চিডি। ভিয়েতনামে যে চোট পেয়েছিলেন সেই চোট এখনও রয়েছে। সেটা নিয়েই ডার্বিতে খেলেছেন। ফলে ব্যথাটা বেড়েছে। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচ খেলতে মরিয়া লাল-হলুদ স্ট্রাইকার। যে জন্য ডার্বির পর দিনটা ছুটি পেলেও, নিজের চোট সারাতেই ব্যস্ত থাকলেন। ফোনে বললেন, “আমার কাছে ফাইনালটা গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে পিঠের ব্যথাটা যাতে কমে যায় সেই চেষ্টাই করছি। সোমবার ছুটি ছিল। মঙ্গলবার অনুশীলনে পরই বোঝা যাবে, আমি ম্যাচ খেলতে পারব কিনা।” তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রের খবর, যে ভাবেই হোক বুধবার শুরু থেকেই খেলানো হবে চিডিকে। |
অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করলেও শিল্ড চ্যাম্পিয়ান হতে মুখিয়ে রয়েছেন র্যান্টি। ডেম্পোর হয়ে পাঁচ বার আই লিগ জিতেছেন। কিন্তু প্রয়াগের জার্সি গায়ে এখনও কোনও ট্রফি পাননি। শিল্ডটাই শেষ ভরসা। সে জন্যই এ দিন অনুশীলনের পর বলছিলেন, “ট্রফির খরা কাটাতে এটাই আমাদের শেষ সুযোগ। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে শিল্ড জিততেই হবে।’’
দুই নাইজিরিয়ান ফুটবলারই ফাইনালের আগে নিজেদের নার্ভ শান্ত করতে পরিবারের সান্নিধ্যে থাকতে চান। র্যান্টির স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়েই কলকাতায় থাকে। কিন্তু চিডির স্ত্রী অ্যাডা ও কন্যা প্রেসাস রয়েছে সুদূর লাগোসে। তাই র্যান্টি যখন বলছেন, “অনুশীলনের পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোটাই আমার মোটিভেশন।” তখন চিডির একমাত্র সম্বল তাঁর মোবাইল ফোন। দূরাভাষেই চিডিকে উদ্দীপ্ত করেন তাঁর স্ত্রী। আর মন খারাপ হলেই মোবাইলে রাখা কন্যা ও স্ত্রীর ছবি দেখে নিজেকে শান্ত রাখেন তিনি। “ওদের জন্য মন খারাপ হয়। তাই ওদের ছবি দেখেই নিজেকে উদ্দীপ্ত করি। আমার অনুপ্রেরণা তো ওরাই।” বলছিলেন লাল-হলুদের নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার।
বুধবার চিডি আর র্যান্টিকে আটকাতে দুই দলের কোচই আলাদা করে ইতিমধ্যে অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে গোলকিপার নিয়ে সমস্যায় জেরবার প্রয়াগ কোচ এলকো সাতৌরি। ফাইনালের দু’দিন আগে রেলের খেলা থাকার জন্য সংগ্রাম, অরিন্দম, ঈশান্তরা অনুশীলনে আসতে পারেননি। অসুস্থতার কারণে সুব্রত পালও অনুশীলনে নামেননি। শুধু গোলকিপার সমস্যাই নয়, কার্ড সমস্যার জন্য ধনরাজন আর তপন মাইতিকেও পাবে না প্রয়াগ।
দলে অনেক সমস্যা রয়েছে ঠিকই। তবু শিল্ড জয়ের স্বপ্নে বুঁদ র্যান্টি-কার্লোসরা।
|