অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাগনানে, পুলিশ লাইনে ক্লোজ আইসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
অপরাধ দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে বাগনান থানার আইসি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ক্লোজ’ করা হল বলে হাওড়া জেলা পুলিশের একটি সূত্রের খবর।
গত ৯ মার্চ একই রাতে হাওড়ার বাগনানে মাত্র ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে ঘটে গিয়েছিল চারটি ঘটনা। সে রাতে দু’টি সোনার দোকানে ডাকাতি, একটি ওষুধের দোকান এবং বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা এবং বাড়ির লোকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সোমবার আইসিকে ক্লোজ করা হয়। পানিয়াড়ায় হাওড়া জেলা পুলিশ (গ্রামীণ)-এর সদর দফতরে কর্তব্যরত সমর ভট্টাচার্যকে এ দিনই বাগনান থানার নতুন আইসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ (গ্রামীণ) সূত্রের খবর। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, বাগনান থানা এলাকায় সম্প্রতি চুরি-ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। একই দিনে এতগুলি অপরাধের ঘটনা ঘটে গেল। এই ব্যর্থতার দায় কিছুটা হলেও বর্তায় আইসি-র উপরে। তার ফলেই তাঁকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, রবিবার ভোরে তিন জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। গত ৯ মার্চ বাগনানে পর ডাকাতি এবং ডাকাতির চেষ্টা ছাড়া উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুরে একটি পেট্রোল পাম্পেও ডাকাতি হয়। ধৃতেরা ওই সব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের নাম ছটু ওরফে সুরেশ সরকার, সোহম পাল ওরফে বুবাই এবং সন্দীপ বিদ। পুলিশ জানিয়েছে, বাগনান এবং উলুবেড়িয়ায় ঘটে যাওয়া অপরাধগুলির পরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর তল্লাশি অভিযান চলছে। রবিবার ভোরে বীরশিবপুরে তল্লাশি চলার সময়ে ওই তিন জন ধরা পড়ে। দু’টি মোটর বাইকে করে পাঁচ জন মুম্বই রোড ধরে বাগনান থেকে উলুবেড়িয়ার দিকে দিকে আসছিল। পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালাতে থাকে। একটি মোটর বাইকে চড়ে দু’জন চম্পট দিলেও অন্য বাইকে থাকা তিন জন ধরা পড়ে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ওই তিন জন বাগনান এবং উলুবেড়িয়ার পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সোমবার তাদের টিআই প্যারেডে শনাক্ত করানো হয়। তিন জনের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতি, খুন-সহ নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে পুলিশের খাতায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে।”
|