|
|
|
|
জোট নিয়ে এখন ভাবার প্রয়োজন নেই: রাহুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভবিষ্যতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে কিনা, সেই ভাবনা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সংগঠন আরও মজবুত করে তুলতে চান সর্বভারতীয় কংগ্রেসের নতুন সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে এখন ধারাবাহিক বৈঠক করছেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্য নেতাদের উদ্দেশে রাহুলের মূল বক্তব্য, তৃণমূলকে চাপে রাখতে হবে। আর সেই কারণে কংগ্রেস সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। বামেদের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। ফলে তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার জন্য কংগ্রেসের এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ও পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল। তার পর ফের পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রাক্তন ছাত্র নেতা শুভঙ্কর সরকারকে আজ দিল্লিতে ডেকে পাঠান রাহুল। দলীয় এক সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ঘটনাক্রম, তৃণমূলের প্রতি শহুরে মানুষের একাংশের মোহভঙ্গ ইত্যাদি সহ সবিস্তার সমীক্ষা রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান রাহুলের কাছে ছিলই। শুভঙ্করের কাছে তিনি জানতে চান, রাজ্যে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস কতটা কার্যকরী? লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত ও সক্রিয় করে তুলতে গেলে কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে? বৈঠকের বিষয়ে শুভঙ্করকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু বলেন, “কেবল সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছে।” দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে দলনেতাকে শুভঙ্কর জানান যে, তৃণমূলের কোনও মজবুত সাংগঠনিক পরিকাঠামো নেই। বরং মমতার জনপ্রিয়তার রেখচিত্র এখন নিম্নগামী। তাই কংগ্রেস যদি ব্লক স্তর থেকে প্রদেশ স্তর পর্যন্ত একটি চনমনে-সক্রিয় সংগঠন তৈরি করতে পারে, তাহলে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে তিনি জানান, মমতার মোকাবিলায় কংগ্রেসের সংগঠনেও নতুন প্রজন্মের নেতা বা নেত্রীকে আনা প্রয়োজন। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাংগঠনিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে রাহুল বার্তা শুভঙ্করকে দেননি। রাহুলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগঠনে তরুণ প্রজন্মকেই তিনি প্রাধান্য দিতে চান। তবে সাংগঠনিক রদবদলের ব্যাপারে পঞ্চায়েত ভোটের পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। |
|
|
|
|
|