দরপত্র চেয়েও হলদিয়ায় মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাসের জন্য এখনও কোনও সংস্থা জোগাড় করতে পারেনি কলকাতা বন্দর। ফলে এবিজি বিদায়ের খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে এখনও। দরপত্রের বিজ্ঞপ্তির জবাবে মাত্র তিনটি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু তাদের ন্যূনতম দর মেনে নিলেও প্রতি টন পণ্য খালাসে প্রায় ৩০ টাকা লোকসান হবে বন্দরের। বাধ্য হয়ে এখন আগ্রহী সংস্থাগুলিকে অনুরোধ-উপরোধ করে যন্ত্রনির্ভর পণ্য খালাস ব্যবস্থা চালু রাখতে তৎপর হয়েছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বণিকসভা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত রাজ্যের বন্দর শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক আলোচনাসভায় কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিংহ কাহালোঁ জানান, যে-তিনটি সংস্থা দরপত্র দিয়েছিল, তাদের মধ্যে দু’টি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। কারণ পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য টন-পিছু যে-দর চাওয়া হয়েছে, তা অনেকটাই বেশি। ২০০ টাকার নীচে দর নামিয়ে আনার কথা চলছে।
এবিজি গোষ্ঠী হলদিয়া বন্দরের ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করত। বন্দর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবসায়িক মতপার্থক্য তো ছিলই, সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে ছ’মাস আগে ওই সংস্থা চলে গিয়েছে। সেই থেকে ক্রমশই আয় কমে চলেছে বন্দরের। গত বছরের তুলনায় এ বছরের ১৩ মার্চ পর্যন্ত ২০৫ কোটি টাকা কম আয় হয়েছে হলদিয়া বন্দরের। ফলে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সমস্যা বেড়েছে।
এবিজি-র বদলে নতুন সংস্থা নিয়োগ করার জন্যই কিছু দিন আগে আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছে পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্দর সূত্রের খবর, টন-পিছু ২৫০ টাকার বেশি দর দিয়েছে কোনও কোনও সংস্থা। ওই টাকায় পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করালে হলদিয়া বন্দরের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই এখন বুঝিয়ে-সুজিয়ে কম দরে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। চেয়ারম্যান জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে এই দর কষাকষির বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলা হবে। |