একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বনসৃজন ও পুকুর সংস্কারের কাজ করেও টাকা মিলছে না। এই আভিযোগে খয়রাশোলের পাঁচড়া পঞ্চায়েতে সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কিছু জবকার্ডধারী। সোমবার বিক্ষোভ চলাকালীন কর্মীদের ভিতরে ঢুকতে বা বাইরে যেতে বাধা দেন জবকার্ডধারীরা। ঘন্টা দু’য়েক বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ আসে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধান সমস্যা মেটানোর জন্য কাল বুধবার ওই শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
ওই পঞ্চায়েতের বড়কুঁড়ি গ্রামের কাঁকুরপুকুরের পাড়ে বনসৃজন এবং ওই সংসদেরই টিরারপুকুর ও রামসায়ের-সহ মোট তিনটি পুকুরে সংস্কারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। খগেন মণ্ডল, কাঁলাচাদ জমাদার, দীনবন্ধু রায়, মায়া সিংহ, অপর্না মণ্ডলদের দাবি, “কেউ একটি প্রকল্পে কেউ বা একাধিক প্রকল্পে মোট ২ থেকে ৮ দিন কাজ করেছি দুর্গাপুজোর আগে বা পরে। সেই কাজের টাকা আজও পাইনি। বহুবার প্রধানের কাছে দরবার করলেও আশ্বাস ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।” |
বিক্ষোভে শ্রমিকেরা। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান দামোদর বাগদি অবশ্য বলেন, “কাজগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শ্রমিক কাজে লেগেছিলেন। একটা জটিলতা ছিল। তাই মাস্টার রোল তৈরিতে দেরি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েতে কম থাকায় টাকা দিতে দেরি হচ্ছে। যখনই টাকা জেলা থেকে পাওয়া যাবে সকলকেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।” খয়রাশোলের বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “নিয়মানুযায়ী ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করলে ১৪ দিনের মধ্যেই টাকা পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে সেটা দেখতে হবে। তবে এ ভাবে পঞ্চায়েত কর্মীদের আটকে সমস্যা মিটবে না। যদি ওঁরা কাজ করে টাকা না পান, সে ক্ষেত্রে প্রধানের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |