দলত্যাগী কাউন্সিলর নান্টু পালকে চেয়ারম্যান করা নিয়ে জোট শরিক কংগ্রেস-তৃণমূলের বিবাদে পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। শনিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন বিজেপি’র জেলা কমিটির সভাপতি নৃপেন দাস। তাঁর দাবি, কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বেঁধে পুর বোর্ড দখলের পর থেকেই ক্ষমতা দখল নিয়ে তাদের মধ্যে কোন্দল চলছে। আর বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মানুষের স্বার্থে জোটের বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচন করা হোক। জেলা সভাপতি নৃপেন দাস বলেন, “পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে তাতে অবিলম্বে বোর্ড ভেঙে দেওয়া উচিত। সুষ্ঠু পরিষেবা মিলছে না। অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা নানা অভিযোগ করছেন। তাঁদের নিয়ে আমরা অবিলম্বে আন্দোলনে নামব।”
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “পরিষেবায় কোথাও কোন খামতি নেই। যদি কোথাও নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয় তা নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে।” বিজেপির অভিযোগ, শহরে সাফাই পরিষেবার বেহাল দশা। বেলা ১১টার পরেও রাস্তায় আবর্জনার স্তূপ। পানীয় জল দু’বেলা সময় মতো মেলে না। একেক দিন সরু সুতোর মতো ধারায় জল পড়তে থাকে কল দিয়ে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তাগুলি দীর্ঘদিন ধরেই ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরিষেবার হাল ফেরাতে কারও হুঁশ নেই। বামেরাও সদর্থক ভূমিকা না নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে শক্তি প্রদর্শনে নেমেছে।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নান্টু পালকে চেয়ারম্যান করা হলে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত সমস্ত মেয়র পারিষদ পদ খারিজ করে দেন। তাতে আগামী ২৩ মার্চ পুরসভার বাজেট অধিবেশনের আগে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, তাদের মেয়র পারিষদদের পুনর্বহাল না-করা পর্যন্ত কোনও আলোচনায় তারা যোগ দেবে না। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, আলোচনা থেকে দলত্যাগী নান্টু পালকে বাদ দিলে তবেই তারা রাজি। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার জানান, নান্টুবাবুকে বাদ দিয়ে আলোচনায় তারা রাজি। নান্টুবাবুর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তারা যে মামলা করেছেন তার রায়ও শীঘ্রই হাতে পাবেন বলে দাবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে জোটের ভবিষ্যত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। দুই পক্ষের নেতারাই রফা সূত্র খুঁজছেন। |