|
|
|
|
বাস-গাড়ি সংঘর্ষে দাঁতনে মৃত ছ’জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
চিকিৎসার জন্য গাড়িতে ওড়িশার কটকে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ছ’জনের।
শনিবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানা এলাকার আঙ্গুয়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যাত্রিবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। মৃতেরা সকলেই ওই গাড়ির যাত্রী ছিলেন। আহত হয়েছেন গাড়ির আরও তিন যাত্রী এবং বারো জন বাসযাত্রীও। পরে যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় তিন ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তার জেরে ব্যাপক যানজট হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সমেত ন’জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলেই ছ’জনের মৃত্যু হয়। মৃতেরা হলেন গাড়ির চালক সুশান্ত জানা (৩০) এবং আমাশ্বরপুর গ্রামের তারক মল্লিক (৩২), কৃষ্ণরক্ষিত চক গ্রামের বাসিন্দা সমীর মল্লিক (৩২), লক্ষ্মী মল্লিক (৩০), সর্বেশ্বর ভক্তা (২৯) এবং সরলা দণ্ডপাট (২৮)। আহত বাসযাত্রীদের প্রথমে দাঁতন ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। |
|
দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি।—নিজস্ব চিত্র। |
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাসের চালক-খালাসি পলাতক। তবে বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।
সমীরবাবুর স্ত্রী শকুন্তলা মল্লিকও গাড়িতে ছিলেন। তিনি কোনও রকমে জানান, সকাল ৬টা নাগাদ পাশাপাশি দু’টি গ্রামের কয়েক জন গাড়িতে চেপে কটকের দিকে রওনা দেন। আঙ্গুয়ার কাছে মেদিনীপুরগামী সোনাকনিয়া-মেদিনীপুর রুটের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের গাড়ির উপরে এসে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণকান্ত কর বলেন, “জায়গাটা আমার বাড়ি কাছেই। প্রচণ্ড জোরে শব্দ শুনে ছুটে যাই। দেখি, গাড়িটা ভেঙেচুরে গিয়েছে। ভেতরে আটকে বেশ কয়েকটি দেহ। চারপাশে চাপচাপ রক্ত।” এলাকাবাসীই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পৌঁছয়।
জাতীয় সড়কের দু’টি লেনের মধ্যে ওড়িশাগামী লেনে যান চলাচল জল নিকাশির কাজের জন্য মাসখানেক হল বন্ধ রয়েছে। একটি লেন দিয়েই দু’দিকের সব গাড়ি চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি লেন দিয়ে দু’দিকের গাড়ি দ্রুত গতিতে চলাচলের জেরে এর আগেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও যান নিয়ন্ত্রণের কোনও চেষ্টাই করেনি পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দাঁতন থানার আইসি মিহিরলাল নষ্কর ও দাঁতন ১-এর বিডিও জ্যোতি ঘোষ দুর্ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় মানুষজন। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে যান চলাচল ব্যাহত হয়। ব্যস্ত সড়কে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েন। পরে প্রশাসনের তরফে যান নিয়ন্ত্রণের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। |
|
|
|
|
|