|
|
|
|
প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে বিক্ষোভ, গেল না পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁশকুড়া |
স্থানীয় একটি কারখানা বন্ধের জন্য তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে (আইএনটিটিইউসি) দায়ী করেছেন, এই অভিযোগে বিক্ষোভ হল প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অমিয় সাহুর বাড়ি ঘিরে। বিক্ষোভকারীরা এলাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মী বলেই পরিচিত। বিক্ষোভের খবর পেয়েও বিক্ষোভকারীদের সরাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
শনিবার সকালে পাঁশকুড়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অমিয়বাবুর বাড়ির সামনে টানা দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। শুক্রবার রাতেও একই ‘কারণে’ ওই সিপিএম নেতার বাড়িতে ফোন করে ভাঙচুর, লুটপাঠ ও মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাতেই জানানো হয়। এ দিন সকালে বিক্ষোভ চলাকালীনও থানায় ফোন করেন অমিয়বাবুর স্ত্রী। তবুও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
বাম-পরিচালিত হলদিয়া পুরসভায় তৃণমূলের নেতৃত্বে বহিরাগতদের তাণ্ডবের ঘটনায় দু’দিন আগেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। পাঁশকুড়ার ঘটনাতেও শাসকদল ও পুলিশকেই বিঁধছে সিপিএম। দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানার বক্তব্য, “এ ব্যাপারে আমি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দু’বার ফোন করেছি। |
|
অমিয় সাহুর বাড়ির সামনে তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভ। পাঁশকুড়ায়।—নিজস্ব চিত্র |
কিন্তু উনি ‘মিটিংয়ে ব্যস্ত’ বলে এড়িয়ে যান।” অভিযোগ পেয়েও কেন পুলিশ কিছু করল না? এসপিঅমিতভরত রাঠোর বলেন, “তদন্ত হচ্ছে।”
অমিয়বাবু পাঁশকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখন জামিনে মুক্ত। শুক্রবার হলদিয়ায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে তিনি কল-কারখানা বন্ধ হওয়া নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। ঘটনা হল, ১১ মার্চ রাতে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ব্যাটারিতে ব্যবহৃত সীসা ও রাসায়নিক রং তৈরির কারখানা ‘অ্যাসোসিয়েটেড পিগমেন্ট লিমিটেড’-এ ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলান কর্তৃপক্ষ। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে প্রায় ৪০০ শ্রমিক কাজ হারান। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় আইএনটিটিইউসি।
অমিয়বাবুর বাড়ি ঘিরে এ দিনের বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন ওই কারখানার আইএনটিটিইউসি ইউনিটের সহ-সভাপতি আশিস চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়েছেন, কারখানা বন্ধের জন্য কাঁচামালের অভাব, যান্ত্রিক কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি দায়ী। অথচ, অমিয়বাবু চ্যানেলে বসে কারখানার বন্ধের জন্য আমাদের দায়ী করছেন। এই মিথ্যে বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবিতেই বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেছিলাম।” অমিয়বাবুর দাবি, “গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় কারখানা বন্ধ হচ্ছে বলেছিলাম।”
প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি ঘিরে এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অমিয়বাবু ছিলেন না। থানায় ফোন করা হলেও কোনও পুলিশকর্মী না আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী মৌসুমীদেবী ও তিন মেয়ে।
তবে তৃণমূলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত বলে মানেননি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন। |
|
|
|
|
|