|
|
|
|
|
যুবভারতীতে ইট, অন্ধকার করিডর দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
|
ষোলো মাস পরে রাতের আলোয় ডার্বি হচ্ছে। সেই ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে কিন্তু অপ্রস্তুত যুবভারতী।
‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’-এর মতো এত দিন যুবভারতীর যে আলোর দিকে আঙুল উঠত, এ বার তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাদ সেধেছে অন্য জায়গায়। গেট এবং মিডল টাওয়ারে আলো না থাকা-সহ পরিকাঠামোগত একাধিক সমস্যা নিয়ে রাতের ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের। এমনকী সেমিফাইনাল দেখতে এলে সাপ্রিসার ফুটবলাররা কোথায় বসবেন তা নিয়েও রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে।
শনিবার বিকেলের পর দফায় দফায় দলবল নিয়ে যুবভারতী ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন বিধাননগর কমিশনারেটের উপনগরপাল (সদর) সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৯ ডিসেম্বরের ‘কুখ্যাত’ ডার্বির মতো কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনায় ফের কলঙ্কিত হোক ফুটবল মাঠ, তা কোনও ভাবেই চান না তাঁরা। যুবভারতীতে নৈশালোকে ম্যাচ আয়োজন করতে গেলে যা যা এখনও দরকার তা সারণীবদ্ধ করে এ দিনও আইএফএ-কে এক দফা জানিয়েছে পুলিশ। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “গ্যালারিতে যাওয়ার সাইন পোস্ট, প্রবেশদ্বারের আলো-সহ একাধিক সুপারিশ রয়েছে পুলিশের তরফে। রবিবার সকালের মধ্যে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও আশাবাদী, “রবিবার নৈশালোকে উপভোগ্য ম্যাচ দেখবেন শহরের ফুটবলপ্রেমী জনতা।” |
|
মন্ত্রী এ কথা বললেও শনিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ঘুরে দেখা গেল নিরাপত্তায় খামতি রয়েছে অনেক জায়গাতেই। ৯ ডিসেম্বর যুবভারতীর গ্যালারি থেকে বৃষ্টির মতো উড়ে এসেছিল ইট। সেই ইটের টুকরোতেই চোয়ালের হাড় ভেঙেছিল মোহনবাগানের রহিম নবির। ভেস্তে গিয়েছিল ম্যাচ। সেই ইটের স্তূপ এ দিন সন্ধেতেও দেখা গেল ২৭ এবং ২৮ নম্বর র্যাম্পের মাঝে। সেখানে ডাঁই করে রাখা ভাঙা ইট এবং কংক্রিটের চাঁই। দিন দুই আগেই এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মোহনবাগান কর্তারা। তার পরেও যুব-আবাসের সামনে, তরণী মাঝির ঘাটের আশেপাশে কী ভাবে ইটের স্তূপ সকলের চোখ এড়িয়ে রয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখানেই শেষ নয়, মিডল টায়ারে দর্শকের যাতায়াতের জন্য ১১ মিটার চওড়া করিডরে কেন আলোর বন্দোবস্ত নেই তা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ কর্তারা। দু’দিকের গোলপোস্টের পিছনে ‘কে’ এবং ‘এম’ ব্লকে বৈদ্যুতিন স্কোরবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার পর সেই জায়গাও ফাঁকা। সিঁড়ি দিয়ে দু’ধাপ নামলেই আপার টায়ার থেকে সোজা নিচে গিয়ে পড়তে হবে। এ দিন স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পর তা নিয়েও স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পুলিশ কর্তারা। এ ব্যাপারে রাতে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বাড়িতে মিস্ত্রি কাজ করে গেলেও অনেক কাজ বাকি থেকে যায়। সে রকমই কিছু কাজ হয়তো বাকি আছে।”
কিন্তু যে গেটগুলির সামনে ষোলো মাস আগের ডার্বিতে ভিড়ের চাপে আহত হয়েছিলেন বহু দর্শক সেখানেই তো এখনও অন্ধকার। কেন? মন্ত্রী বলছেন, “সব ঠিক হয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|