টুকরো খবর |
টি-টোয়েন্টির প্রভাব দেখছেন না সৌরভ-লারা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টেস্ট ক্রিকেটে এমন ঝোড়ো ইনিংস দেখে অবাক অতীতের ক্রিকেট তারকারা, যাঁদের সময়ে সনাতন ক্রিকেটে এমন ইনিংসের কথা কেউ ভাবতেই পারতেন না। এটাই আধুনিক ক্রিকেট। কিন্তু এ কি টি-টোয়েন্টির প্রভাব? না, মানতে রাজি নন প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়কেরা। মোহালিতে শিখর ধবনের জেট গতির সেঞ্চুরির পর এ দিন দ্রাবিড়, সৌরভ, লারা, রনতুঙ্গারা রাজধানীতে বসেছিলেন এক আলোচনা সভায়। যেখানে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, “এর আগে তো কপিলদেব, আজহারউদ্দিন, সহবাগরাও ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেছে। সেগুলো কিন্তু টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার আগেই। এখন আসলে ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুত রান তোলার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটাই ক্রিকেটের পরিবর্তন। তা শুধু টি টোয়েন্টির জন্য নয়।” সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “জীবনের প্রথম টেস্টে তো অনেকেই সেঞ্চুরি করেছে। কিন্তু শিখর যে ভাবে ইনিংসটা খেলল, সেটাই অসাধারণ। তবে এর সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কোনও সম্পর্ক নেই। ওর টেকনিক দুর্দান্ত।” প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্রায়ান লারাও এই ব্যাপারে একমত। বলেন, “টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে এই ইনিংসের সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। তবে ২০-৩০ বছর আগে এমন ইনিংসের কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবত না।” শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী দলের নেতা অর্জুন রণতুঙ্গা সরাসরি টি টোয়েন্টির কথা না তুললেও বলেন, “এখন আর কেউ টেকনিকে গুরুত্ব দেয় না, ব্যাটসম্যানরা সবাই যত বেশি সম্ভব শট খেলতে চায়। আমার কাছে টি টোয়েন্টি বিনোদন আর টেস্ট হল শিক্ষা।”
|
গ্রিন টপে আজ বাংলা খেলাবে চার অলরাউন্ডার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঘাসে ঢাকা বাইশ গজ আর তাই জয়ের টোটকা হিসেবে চার অলরাউন্ডার প্রস্তুত। আজ রবিবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি (জাতীয় টি-টোয়েন্টি) টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে অসমের বিরুদ্ধে এটাই হতে চলেছে বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র স্ট্র্যাটেজি।সঞ্জীব স্যান্যাল। সায়নশেখর মণ্ডল। লক্ষ্মীরতন শুক্ল নিজে। এবং অর্ণব নন্দী। চারের মধ্যে তিন জনই পেসার অলরাউন্ডার। বাংলা অধিনায়কের মনে হচ্ছে, অসম যেহেতু সদ্য বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনাল খেলে উঠেছে, তাই ত্রিপুরার মাঠের গ্রিন টপে তাদের টক্কর নিতে হলে পেস-মন্ত্রেই নেওয়া ভাল। “সব টিমই নিজের শক্তি দেখে টিম করে। আমার যেমন পেস। সামি আছে। আমি আছি। সায়নশেখর, সঞ্জীব আছে। উইকেট যা দেখলাম, তাতে পেসাররাই ফায়দা তুলবে,” আগরতলা থেকে ফোনে বলছিলেন লক্ষ্মী। যিনি বিজয় হাজারে ট্রফির ব্যর্থতা মুছে ফেলতে চাইছেন জাতীয় টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জিতে। লক্ষ্মী বলছিলেন, “টি-টোয়েন্টি এমন একটা ফর্ম্যাট যেখানে কামব্যাকের কোনও জায়গা থাকে না। তবে এই টুর্নামেন্টটা আমরা ভাল খেলি। এ বার মনোজ নেই। কিন্তু বাকিরা যারা আছি, চেষ্টা করব ওর অভাবটা ঢেকে দেওয়ার। যা মনে হচ্ছে, রবিবার টস একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে।” শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছাড়া হালকা দুশ্চিন্তা বলতে বাংলা অধিনায়কের সামান্য জ্বর। যদিও লক্ষ্মী নিজে বলছেন, “যত জ্বরই হোক, ম্যাচে নামছি।”
|
আশা জিইয়ে রাখলেন গগনজিৎ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শিখর ধওয়ান মোহালি কাঁপানোর দিনে আভান্থা মাস্টার্সে ভারতীয়দের সময়টা ভাল গেল না। আজ গগনজিৎ ভুল্লার পাঁচ-আন্ডার ৬৭ স্কোর করে কলকাতার রাহিল গাঙ্গজিকে টপকে উঠে এলেন অষ্টম স্থানে। তিন দিনের পর তাঁর মোট স্কোর ১২-আন্ডার ২০৪। দক্ষিণ আফ্রিকার টমাস এইকেন ১৮-আন্ডার ১৯৮ করে লিডারবোর্ডে শীর্ষে উঠে এসেছেন এ দিন। গগনজিৎ তাঁর থেকে ঠিক ৬ শটে পিছিয়ে। এইকেনের থেকে এক শটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লিয়াং ওয়েন চং। এ দিকে, আজ ছ’টা বার্ডি মেরে জীব মিলখা সিংহ উঠে এলেন ১৭তম স্থানে। তাঁর স্কোর ১০-আন্ডার ২০৬। ফলে ভারতের আশা এখন গগনজিৎ আর জীবকে ঘিরেই টিমটিম করছে। তবে প্রথম দশে থেকে শেষ করার সেরা সুযোগ সম্ভবত গগনজিতেরই। এদিকে কলকাতার রাহিল গাঙ্গজি (৭২) ও অনির্বান লাহিড়ি (৭০) আজ সামান্য পিছলে গিয়ে যুগ্ম ভাবে ২৩তম স্থানে রইলেন। দু’জনেরই মোট স্কোর ৯-আন্ডার ২০৭। আর জ্যোতি রনধাওয়া রইলেন ৩২তম স্থানে। সব থেকে পিছিয়ে গেলেন কলকাতার শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়া। ২১৪ মোট স্কোরে তিনি রয়েছেন ৬৮ তম স্থানে।
|
যোগ্যতা পর্বই শেষ হল না মেলবোর্নে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মোহালি টেস্টের প্রথম দিনটা যেন আচমকা রফতানি হয়ে গিয়েছিল মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান গ্রাঁ প্রি-তে! যেখানে দিনভর বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে হয়ে শুরু হল ফর্মুলা ওয়ানের নতুন মরসুম! আন্তর্জাতিক টেলিভিশন দর্শকদের চাহিদা মেটাতে যোগ্যতা পর্ব ফেলা হয়েছিল বিকাল পাঁচটায়। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টিতে কোয়ালিফিকেশনের প্রথম পর্ব শেষ করার পরে বাকি দুই পর্বই ঠেলে দিতে হল রবিবারে। মানে মূল রেস শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে জানতে পারা যাবে স্টার্টিং গ্রিডে কে কোথা থেকে শুরু করবেন। মানে রণকৌশল সাজানোর জন্য খুব কম সময় পাবেন সেবাস্তিয়ান ভেটেল, ফের্নান্দো আলোনসোরা। বৃষ্টির কারণে এ দিন যোগ্যতা অর্জনের প্রথম পর্বেই পিছিয়ে দিতে হল মোট তিন বার। পিচ্ছিল ট্র্যাকে লুইস হ্যামিল্টনের গাড়ির পিছনের দিকে ক্ষতি হল। দেওয়ালে ধাক্কা লেগে নাক উড়ে গেল ফিলিপে মাসার ফেরারির। রেড বুলের মার্ক ওয়েবার আর ফোর্স ইন্ডিয়ার পল ডি রেস্টাও ঘাসে ঘুরপাক খেলেন কয়েক বার। এরই মধ্যে দিনের সেরা সময়টা করে ফেললেন মার্সিডিজের নিকো রোজবার্গ। দ্বিতীয় আলোনসো। কাল বাকি দুই যোগ্যতা পর্বে অনেক কিছুই পাল্টাবে। ২০১০-এর সুজুকায় শেষ বার এমন তাণ্ডব চালিয়েছিল বৃষ্টি। ফলে শনিবারের যোগ্যতাপর্ব গোটাটাই সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল রবিবারে।
|
ছিটকে গেল ম্যান সিটি
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
|
তেভেজ মাটিতে। দলও। |
এভার্টনের কাছে ০-২ হেরে ইপিএল জেতার দৌড় থেকে ছিটকে গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। শনিবার ৩২ মিনিটে এভার্টনের লিওন ওসমান এবং অতিরিক্ত সময়ে নিকিকা জেলাভিচের গোলের জবাব দিতে পারেননি কার্লোস তেভেজরা। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধে স্টিভন পিয়েনার লালকার্ড দেখায় চাপে পড়ে যায় এভার্টন। কিন্তু খেতাব জয়ের জন্য মরিয়া সিটির ফুটবলাররা এই সুযোগ নিতে পারেননি এভার্টনের জান মুচা তেকাঠির নীচে দুভের্দ্য হয়ে ওঠায়। কার্লোস তেভেজ, জেমস মিলনার এবং পাবলো জাবালাতার শট বাঁচিয়ে দেন তিনি।
|
পাঁচ গোল কালীঘাটের, জিতল সার্দানও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ক্রিস্টোফারের হ্যাটট্রিকে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচে ঈগলস এফসির বিরুদ্ধে ৫-১ জয় পেল কালীঘাট। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ লিগে নিজেদের জায়গা মজবুত করল কালীঘাট। এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল তারা। বিরতির আগেই ক্রিস্টোফারের জোড়া গোলে ২-১ এগিয়ে যায় তারা। বিরতির পর ক্রিস্টোফার ছাড়া বাকি দুটি গোল করেন জেমস ও রেইসাঙ। বেঙ্গালুরুতে অন্য ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয় পেল সুব্রত ভট্টাচার্য-র সাদার্ন সমিতি। সুরজ মণ্ডলের গোলে জিতল তারা।
|
রবিবারে আইএফএ শিল্ড সেমিফাইনাল
ইস্টবেঙ্গল : মোহনবাগান (যুবভারতী ৫-৩০)
|
চ্যাপেলকে একহাত |
এই দিনটার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলেন। মোহালিতে ৮৬ রানের ইনিংসের পরই সমালোচনার জন্য ইয়ান চ্যাপেলকে পাল্টা নিলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার এড কাওয়ান, “জানি প্রচুর রান করতে হবে ইয়ান চ্যাপেলের পছন্দের প্রথম একাদশে থাকতে। অবশ্য তার পরও এই দলে নিজেকে কোনও দিন দেখতে পাব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” চ্যাপেল অ্যাসেজের দিকে লক্ষ্য রেখে ওপেনিং থেকে কাওয়ানকে সরিয়ে শেন ওয়াটসনকে নিয়ে আসার পক্ষে সওয়াল করেন। প্রাক্তন অজি অধিনায়কের মত ছিল তাতে ওপেনিংয়ে ধার বাড়বে। কাওয়ান বলেছেন, সমালোচকদের মন পাওয়া নয়। দলের জন্যই রান চাই।
|
সমতা ফেরাল পাকিস্তান |
|
দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানকে একদিনের সিরিজে সমতায় ফেরালেন পেসাররা। মহম্মদ ইরফান ৩৩ রানে চার উইকেট নিয়ে ধস নামান। তাঁর প্রথম স্পেলের ঝাপটায় ৬২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই অবস্থায় ফারহান বাহারডিন (৫৮) ও রবিন পিটারসন (৪৪) জুটিতে ৬৭ রান তোলে। ঝড়-বৃষ্টির দাপটে ওভার ৫০ থেকে ৪৪-এ কমিয়ে আনা হয়। ১৯১ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। জবাবে অধিনায়ক মিসবা উল হকের অপরাজিত ৫৭ রানের দাপটে ২৮ বল বাকি থাকতেই চার উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তুলে জিতে যায় পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচ রবিবার।
|
বিদায় মারে |
বিএনপি পারিবাস ওপেনের শেষ আটের ম্যাচে জুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন অ্যান্ডি মারে। আড়াই ঘণ্টার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত দেল পোত্রো জিতলেন ৬-৭, ৬-৩, ৬-১। ব্রিটিশ টেনিস তারকা ফাইনালে উঠতে পারলে টেনিস বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে টপকে যেতেন রজান ফেডেরারকে। আপাতত যেটা হচ্ছে না। এ দিন ছ’ফুট ছ’ইঞ্চির আর্জেন্তিনীয় দেল পোত্রোকে প্রথম দিকে ভাল লড়াই দিলেও পরের দিকে সেটা ধরে রাখতে পারেননি মারে। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে মাত্র ৫৪ মিনিটে উইলফ্রেড সঙ্গাকে ৬-৩, ৬-১ উড়িয়ে দিলেন বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জকোভিচ। এ বছরে এই নিয়ে টানা ১৭টা ম্যাচ জিতলেন তিনি।
|
এগোচ্ছেন সৌরভ |
আর কে জি স্নুকার মাস্টার্স উত্তরাঞ্চল প্রিলিমসের শেষ ষোলোয় উঠলেন কলকাতার সৌরভ কোঠারি। নিজের বিধ্বংসী ফর্মের নজির রেখে চন্ডীগড়ের সমীর ভাল্লাকে তিনি হারান। খেলার ফল দাঁড়ায় ৭৬-১২, ৭৭-৩৪, ৭০-৩০ সৌরভের পক্ষে। এই টুর্নামেন্টের জয়ী খেলবেন আর কে জি খর জিমখানা স্নুকার মাস্টার্সে। যেখানে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন আট বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পঙ্কজ আডবাণী। |
|