|
|
|
|
|
চিডির ‘পকেটে’ ডার্বির গোল, ‘আসল’ গোল চান ওডাফা
তানিয়া রায় • কলকাতা |
|
ডার্বির গোল পকেটে নিয়ে ঘুরছেন এডে চিডি! সেই গোলের কয়েকটা রবিবার সমর্থকদের উপহার দিতে চান ইস্টবেঙ্গলের নাইজিরিয়ান গোলমেশিন।
ভিয়েতনাম থেকে ফেরার পর ক্নান্ত। তবুও ডার্বির গন্ধে চনমনে হয়ে ওঠা লাল-হলুদ স্ট্রাইকার শনিবার বলে দিলেন, “সবুজ-মেরুন জার্সিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পাঁচ গোল করেছিলাম। ইস্টবেঙ্গলে এসে ডার্বিতে এখনও গোল পাইনি। ডার্বির গোল কিন্তু আমার পকেটে মজুত আছে।”
এই মরসুমের আগের দু’টি ডার্বিতে গোল পাননি চিডি। এ বার তাই গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বললেন, “আমি গোল করে দলকে জেতাতে চাই।”
চিডি যখন গোলের খোঁজে উত্তেজিত, তখন আশ্চর্য রকম ভাবে শান্ত দেখাচ্ছে ওডাফা ওকোলিকে। কে বলবে এই শিল্ডেই দু দু’টি হ্যাটট্রিক আর একটি পাঁচ-গোলের ‘কোহিনুর’ তাঁর মুকুটে শোভা পাচ্ছে! শনিবার অনুশীলনের সময় একের পর এক বল গোলে মেরে যাচ্ছিলেন। তবে বিভিন্ন কোণ থেকে গোল করার পর অবশ্য আকাশের দিকে তাকিয়ে উদ্বাহু হতে দেখা যায়নি তাঁকে। কারণ ‘ডামি’ গোলে যে তাঁর মন ভরে না। চাই ‘আসল’ গোল।
কলকাতা লিগে সুযোগ রয়েছে এখনও। কিন্তু শিল্ডের হাত ধরেই এই মরসুমের অন্ধকার ঘোচাতে চায় বাগান। সে জন্যই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন মোহন-অধিনায়ক। তবে উত্তেজনা বাইরে প্রকাশ করতে রাজি নন তিনি। ক্লাব-তাঁবু ছাড়ার আগে শুধু বলে গেলেন, “ম্যাচের পরই সব কিছুর উত্তর দেব।”
দুই দলের দুই নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারকে ঘিরে যখন প্রত্যাশার ফানুস উড়ছে, তখন কিন্তু করিম আর মর্গ্যান ব্রিগেড দুই নাইজিরিয়ানকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না। মোহনবাগানের কোচ করিম বেঞ্চারিফা তো পরিষ্কার বলে দিলেন, “আমার দল যে ধরনের ফুটবল খেলছে সেটা খেলতে পারলে চিডিকে আটকানো কোনও বড় বিষয় নয়।” পাল্টা জবাব আসছে ইস্টবেঙ্গল শিবির থেকেও। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম ধারাবাহিক ফুটবলার খাবরা বলছিলেন, “ওডাফা গোল করবে কী ভাবে? ওর কাছে তো বলই যেতে দেব না।”
মোহন স্টপার ইচে আবার এক কাঠি এগিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন চিডিকে। বলছেন, “চিডিকে নিয়ে আলাদা কোনও টেনশন নেই আমাদের।” যা শুনে পেনের মন্তব্য, “ওডাফা ভাল ফর্মে আছে তো কী হল, আমরাও তো দুরন্ত ছন্দে রয়েছি!”
ক্লান্ত তাই চিডি-ডিকাদের হালকা অনুশীলন করিয়েছেন মর্গ্যান। আর করিমের প্র্যাক্টিস হল, লক্ষ্যে স্থির থাকা। যুবভারতীর দরজা দেরিতে খোলার জন্য গেটের বাইরে বসেই অ্যালভিটো, সৌমিক, মর্গ্যানদের জমিয়ে আড্ডা থেকে চিডি-খাবড়ার মজা করে হাতাহাতি, পেনের সঙ্গে বরিসিচের খুনসুটি—এই কোলাজগুলোই বলে দিচ্ছিল কতটা চনমনে আর আত্মবিশ্বাসী রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
সেখানে সাপ্রিসার কাছে হারের ফলে একটু বেশি সাবধানী করিম। নিজেই এ দিন গোলকিপারদের নিয়ে অনুশীলন করালেন। রহিম নবির পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনাও করতে দেখা গেল মরোক্কান কোচকে। ইচে-আইবরদের ধরে ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে আটকানোর কৌশল।
ড্র করলেই ম্যাচ টাইব্রেকারে যাবে। সে জন্য করিম পেনাল্টি অনুশীলন করিয়েছিলেন গত কয়েক দিন ধরে। মর্গ্যান করালেন শনিবার। শেষ প্রহরে। হারলেই বিদায়। তাই চাপে রয়েছে দু’দলই। কিন্তু সেটা বাইরে আসতে দিতে রাজি নন কেউই। তবে ভিতরে ভিতরে তেতে রয়েছেন দুই দলের ফুটবলাররাই। সেটা তাদের কথাবার্তা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। ফুটবল মাঠে ঝড় ওঠার আগে যা হয়! |
|
|
|
|
|