আবাসন ভাতা মামলায় নিজেদের অবস্থানের স্বপক্ষে আদালতে নথিপত্র জমা দিল শ্রমিক আইএনটিইউসি এবং ইসিএল। দু’পক্ষই আসানসোলে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইব্যুনাল আদালতে নথিপত্র দাখিল করেছে।
যে সব কর্মী আবাসন পাননি, তাঁদের ক্ষেত্রে খনি কর্তৃপক্ষ নিয়মমাফিক আবাসন ভাতা দিচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দিন ধরেই আইএনটিইউসি-সহ নানা শ্রমিক সংগঠন আন্দোলন করছে। ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় কোনও সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি শ্রমমন্ত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশন। শ্রমমন্ত্রক বিষয়টি ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার জন্য পাঠায়।
ইসিএল আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে, ১৯৭৯ সালে কোল ইন্ডিয়ার ঘোষণা অনুযায়ী আসানসোল ও ধানবাদে খনিকর্মীরা অন্য নানা সুযোগ-সুবিধা পান। তাই তাঁদের ভাতা সংক্রান্ত দাবি ধোপে টিকছে না বলে দাবি ইসিএলের। আইএনটিইউসি নেতৃত্বের যদিও পাল্টা দাবি, ১৯৯১ সালের জনসংখ্যার নিরিখে আসানসোল শহর বি-টু শ্রেণির শহরের মর্যাদা পায়। সেই অনুযায়ী এমন পুর এলাকায় থাকা কোলিয়ারি ও খনি কার্যালয়ে কর্মরত শ্রমিক, যাঁরা কর্মী আবাসন পাননি তাঁদের ১৫ শতাংশ আবাসন ভাতা পাওয়ার কথা। ১৯৯৪ সালের জুলাই থেকে ওই ভাতা দেওয়ার নির্দেশ কোল ইন্ডিয়া দিলেও পুর এলাকার শ্রমিক-কর্মীরা মাত্র ১০ শতাংশ করেই ভাতা পেয়ে আসছেন। তাঁদের আরও দাবি, ২০০৯ সালে আসানসোল ওয়াই শ্রেণির সিটির মর্যাদা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী ২০ শতাংশ আবাসন ভাতা পাওয়ার কথা।
আইএনটিইউসি নেতা সঞ্জয় মাজি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ মেনে কোল ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ‘সেন্ট্রাল মাইন প্ল্যানিং অ্যন্ড ডিজাইন ইনস্টিউট’ ২০০৯-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০ শতাংশ আবাসন ভাতা দিচ্ছে। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়ের বক্তব্য, “আদালত যা নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে। বিচার শেষ হওয়ার আগে কিছু বলার নেই।” |