|
|
|
|
নিহত জওয়ানের শোকমিছিলে ভাইয়ের ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তাঁকে ঘিরেই শোকমিছিল। কিন্তু সেই শোকমিছিলে ব্যবহৃত ছবিটিতে মুখ তাঁর জীবন্ত ভাই-এর। শুক্রবার এমনই ‘লজ্জাজনক ভুলে’র সাক্ষী হলেন কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলায় নিহত জওয়ান এন সতীশের পরিবার ও গ্রামবাসী। এই গাফিলতির জন্য তাঁরা আঙুল তোলেন প্রশাসনের দিকে। প্রশাসনের পাল্টা দাবি, সতীশের পরিবার সূত্রেই ওই ছবি পান তাঁরা।
বুধবার কাশ্মীরের পুলিশ পাবলিক স্কুলের মাঠে ক্রিকেট কিট হাতে ঢোকা দুই জঙ্গির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় নিরস্ত্র অবস্থায় মৃত্যু হয় পাঁচ সিআরপি জওয়ানের। যাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন এন সতীশ। শুক্রবার তাঁর দেহ সমেত কর্নাটকের মান্ড্য থেকে একটি শোকমিছিল রওনা দেয় সতীশের গ্রামের বাড়ি আলমবাদির দিকে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাতে নিহত জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, সে জন্য মান্ড্যতেই কিছু ক্ষণ রাখা হয় তাঁর দেহ। আর ঠিক তখনই ধরা পড়ে ‘ভুল’। লজ্জায় পড়ে তড়িঘড়ি ভুল শোধরাতে তৎপর হন অফিসাররা। বদলানো হয় ছবি।
কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না। সতীশের কাকা আনন্দের দাবি, পুরো গাফিলতিই স্থানীয় প্রশাসনের। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু মান্ড্যর ডেপুটি কমিশনার বি এন কৃষ্ণাইয়াহ জানান, সতীশের পরিবারই ওই ছবি দিয়েছেন তাঁদের। বিতর্ক ছড়িয়েছে আরও একটি কারণে। মান্ড্যর একটি বেসরকারি হাসপাতাল এ দিন সকালে তিন ঘণ্টার জন্য সতীশের দেহ রাখতে অস্বীকার করে। ফলে ছড়ায় ক্ষোভ। কর্নাটকের মন্ত্রী এস এ রামদাস ঘোষণা করেন, ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। প্রতিশ্রুতি দেন, মান্ড্যয় জমি পাবে সতীশের পরিবার।
অন্য দিকে, বুধবারের হামলায় নিহত অপর জওয়ান অবধ বিহারি সিংহের বাবা রাম কুমার এ দিন দাবি করেন, যত ক্ষণ না পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব তাঁদের বাড়ি আসবেন, তত ক্ষণ পর্যন্ত ছেলের শেষকৃত্য করবেন না তিনি। তাঁর ক্ষোভ, “আমার ছেলে নিজের জীবন দিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী উমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার সময়টুকু পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নেই।” গত কাল ওই জওয়ানের পরিবারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে ক্ষোভ কমছে না অবধের পরিবারের।
|
কাশ্মীর হামলায় যুক্ত সন্দেহে ধৃত
সংবাদসংস্থা • শ্রীনগর |
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক আত্মঘাতী হামলার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় জুবেইর নামের এক ব্যক্তিকে। আজ জেরার মুখে সে স্বীকার করে, লস্কর-ই-তইবা তাকে নিয়োগ করেছিল। তার সঙ্গে বুধবার শ্রীনগরের শহরতলিতে এসেছিল আরও দু’জন আত্মঘাতী জঙ্গি। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি জুবেইর। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ছত্তবাল এলাকা থেকে ধরা পড়ে জুবেইর ওরফে আবু তাল্লাহ ওরফে রিয়াজ। পাকিস্তানের মুলতানের বাসিন্দা জুবেইর জানিয়েছে, চরম দারিদ্রের কারণেই লস্কর-ই-তইবায় যোগ দেয় সে। লস্করের জঙ্গি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে বিশদ জানিয়েছে সে। পুলিশ জানিয়েছে, জুবেইরের বয়ান অনুযায়ী বুধবার কাশ্মীরের পুলিশ পাবলিক স্কুলের মাঠের আত্মঘাতী হামলার পিছনে যে দু’জন জঙ্গি দায়ী ছিল, তারা পাকিস্তানের সাহিওয়াল ও ডেরা গাজি খানের বাসিন্দা। মাস খানেক আগে উত্তর কাশ্মীরের উরি থেকে ভারতে ঢোকে ওই দু’জন। তাদের সঙ্গে ছিল জুবেইর। প্রসঙ্গত, বুধবারের ঘটনার ক’ঘণ্টার মধ্যেই বাশির নামে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, সে-ও এই উরিরই বাসিন্দা।
|
পুরনো খবর: স্মরণসভায় গরহাজির ওমর আবদুল্লা, ক্ষুব্ধ সিআরপি |
|
|
|
|
|