নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাঁধ থেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কালিয়াচকের ১৬ মাইল এলাকায়। বুধবার বিকালে এলাকার বাঁধ থেকে বাড়ির ছাগল আনতে বলেন ওই ছাত্রীর মা। সেই সময় তিন যুবক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে লিচু বাগানে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশেপাশের এলাকা থেকে বাসিন্দারা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা কিশোরীকে ফেলে পালায়। গ্রামবাসীরা কিশোরীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। গ্রামবাসীরাই তিন জন অভিযুক্তের নাম পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করার পরে ধর্ষণের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা তিন জনের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এক যুবককে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ওই যুবক ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি দুই অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” বিষয়টি জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার গ্রামের মহিলারা অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয়ে কারিমূল শেখ নামে এক অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত বুড়া শেখ ও সাফিকূল শেখ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। বুড়া শেখের মা জৈবন বিবি বীরনগর ২ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য। বর্তমানে অভিযুক্তের বাবা হুকুমত শেখ ও মা জৈবন বিবি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কে কোন দল করেন বড় কথা নয়। অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে বলা হচ্ছে। ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িতদের কোনও ভাবে ক্ষমা করা যাবে না।” আর হুকুমত শেখের বক্তব্য, “ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ওকে আগেই বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলাম।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগেও গ্রামে কয়েকজন দুষ্কৃতী তিনটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। একটি মেয়েকে নিয়ে গিয়ে গায়েব করে দিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগ জানানোর সাহস করেনি। বুড়া শেখ মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা শুরু করেছিল। প্রয়োজনে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে থানা ঘেরাও করার কথা বলেছেন বাসিন্দারা। |