বৃহস্পতিবার বীরপাড়ার ৩টি বাগানের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, আরএসপি-র কয়েক হাজার সমর্থক-নেতা তৃণমূলে যোগ দিলেন। এর মধ্যে আরএসপি’র বীরপাড়া-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান- সহ ৫ সদস্য রয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। দলের নেতাদের দাবি, মোর্চার তিন হাজার কর্মী ও সমর্থক এ দিন দল ছেড়েছেন। তাঁরা বীরপাড়ার লঙ্কাপাড়া, দলমোড়, তুলসীপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা। রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, মিহির গোস্বামী এবং ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী তাঁ দের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। সৌরভবাবু বলেন, “বিমল গুরুঙ্গের পাশে আর ডুয়ার্সের মানুষ নেই। জাতিগত ভেদ এখানকার মানুষ চান না। আরএসপি-র পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য দলে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি মোর্চা ভেঙে ৩টি বাগানে আমাদের সংগঠন তৈরি হল। কয়েক মাসের মধ্যে মোর্চা নেতারা এই এলাকায় মিছিল করার লোক পাবেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর ডুয়ার্স সফরের শেষে এই দলবলকে বড় সাফল্য হিসাবে দেখছেন তৃণমূল। এ দিন মোর্চা থেকে তৃণমূলে দেওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন পুনম লামা। তিনি মোর্চার মিডল ডুয়ার্স কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা উজ্জ্বল লামা, বিক্রম গুরুঙ্গ, দার্জিলিং-তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন লেবার ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক থুলো কাঞ্ছা লামা ছাড়াওআরএসপি-র বীরপাড়া ২-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শের বাহাদুর সুব্বা-সহ ৫ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। উজ্জ্বল লামা বলেন, “জিটিএ গঠন হওয়ার পর থেকে বিমল গুরুঙ্গ ডুয়ার্স নিয়ে মাথা ঘামান না। এলাকার উন্নয়ন নিয়েও তাঁর মাথাব্যথা নেই।” মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি দলের নেতা কর্মীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাজে কথা। আমাদের সংগঠনে চিড় ধরেনি।” আরএসপি বীরপাড়া জোনাল সম্পাদক গোপাল প্রধান বলেন, “উপপ্রধানকে আগেই দল থেকে বার করে দিয়েছি। আর কেউ তৃণমূলে দেননি।” এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি ডুয়াসের্র মোর্চার নেতা পদম লামা-২৭ জন তৃণমূলে যোগ দেন। গত ৮ মার্চ চামূর্চিতে আড়াইশ মোর্চা কর্মী ও সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেন। |