সংগঠনকে চাঙ্গা করার ভার গৌতম, মিহিরকে
বাগানে শক্তিবৃদ্ধি চান নেত্রী
কোচবিহারে একাধিক বার তৃণমূলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জলপাইগুড়িতে তৃণমূল অনেকটাই দুর্বল। ডুয়ার্সে বাগানগুলিতে তৃণমূলের সংগঠনে সদস্য সংখ্যা হাতে গোনা। এ অবস্থায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফর শেষে কলকাতায় ফেরার আগে মংপংয়ে বৈঠকে জলপাইগুড়িতে (আলিপুরদুয়ার বাদে) তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। আলিপুরদুয়ারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোচবিহারের নেতা তথা জয়গাঁও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামীকে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “দল থেকে জলপাইগুড়িতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব পালন করব। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন। সরকারের কাজকর্মে তাঁরা খুশি।
বন-পথে। মংপঙের বাংলো থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের দিকে।
বৃহস্পতিবার ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক
ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে দল শক্তিশালী হয়েছে। আমরা ভাল ফল করব।” দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে মিহিরবাবুর বিরোধ দীর্ঘদিনের পুরনো। শহর থেকে শুরু করে মাথাভাঙ্গা, মেখলিগঞ্জ ও দিনহাটাতে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রেষারেষি কারও অজানা নয়। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই পক্ষের তরফে আলাদা মিটিং, মিছিলের আয়োজন করা হয়। মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থায়, পঞ্চয়েত নির্বাচনের টিকিট নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোল হতে পারে বলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জমা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তা যাতে না হয়, সে জন্য মিহিরবাবুকে আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দলের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী। মিহিরবাবু এবং রবীন্দ্রনাথবাবু দু’জনেই অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। মিহিরবাবু বলেন, “দল আমাকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে। তা ছিক মতো পালন করব।”
এরই পাশাপাশি, জলপাইগুড়িতে সিপিএম ও কংগ্রেস তৃণমূলের চেয়ে অনেকটাই বেশি শক্তিশালী। সেখানে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকা ও ডুয়াসের চা বলয়ে তৃণমূলের সংগঠন অপেক্ষাকৃত দুর্বল। ডুয়ার্সে ভাল ফল করতে হলে স্থানীয় সংগঠনগুলির সঙ্গে জোট তৈরি করা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই তৃণমূলের কাছে। সে দিকে লক্ষ্য রেখে তারা আদিবাসী সংগঠনের নেতা জন বার্লার সঙ্গে বৈঠকেও বসেছে। পাশাপাশি আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন তৃণমূল নেতার। এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য জন্যই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিধানসভায় উত্তরবঙ্গ

বেতনে গরমিল
জনস্বাস্থ্য কারিগরির অধীনে পাম্পে কর্মরত ঠিকাদার কর্মীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস এ ব্যাপারে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, গত বছর সেপ্টেম্বর কোথাও বা নভেম্বর থেকে বেতন মিলছে না ঠিকাকর্মীদের।

পর্যটন-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
মালদহে পর্যটন সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ার আশ্বাস দিলেন পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তিনি এ কথা জানান। তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুরকে নিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট গড়া হবে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে এ ধরনের ১২-১৩টি পর্যটন সার্কিট গড়া হবে।

বনমন্ত্রীর দাবি
চলতি বছরে উত্তরবঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় ৮টি হাতি মারা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার এক প্রশ্নের উত্তরে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন এমনই জানান। তিনি জানান, ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু ঠেকাতে আলিপুর দুয়ারে একটি আন্ডারপাশ করার জন্য ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে একটি নজরমিনার।

সার্কিট বেঞ্চের জমি নির্দিষ্ট
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সে জায়গা দেখেও এসেছেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ কথা জানান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.